পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব রিপোর্ট : গতকাল তুরস্কে এক ব্যর্থ সেনা বিদ্রোহ বিশ্বব্যাপী মুসলিম জনগোষ্ঠীর মনে উদ্বেগ সৃষ্টি করে। যথাসময় তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়ের এরদোগানের অসম সাহসী ভূমিকা বীরোচিত নেতৃত্বে তুরস্কের দেশপ্রেমিক জনতা বিদ্রোহীদের পরাজিত করতে সক্ষম হয়।
রাজধানী থেকে দূরে থাকাবস্থায় এ বিদ্রোহ সংঘটিত হলেও প্রেসিডেন্ট এরদোগান দ্রুত ইস্তাম্বুলে পৌঁছে মিডিয়ায় ভাষণ দেন। জাতির উদ্দেশ্যে তিনি রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানালে জনপ্রিয় এ নেতার সমর্থনে মানুষ রাজপথে নেমে এসে পাল্টা গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে ফেলে। সশস্ত্রবাহিনীর বিদ্রোহীদের মুখোমুখি হয় নিরস্ত্র জনতা। উভয়পক্ষের বেশকিছু হতাহতের ঘটনা তাকলেও বিদ্রোহ নির্মূল করা হয়। প্রেসিডেন্ট এরদোগার সশস্ত্র বাহিনীতে ঘাপটি মেরে থাকা ইসলাম ও তুরস্ক বিরোধীদের খুঁজে বের করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে গতকাল বিদ্রোহ দমনে সফলতার সংবাদ পেয়ে শান্তিকামী মানুষের মনে স্বস্তি নেমে আসে। বিশ্বের সব দেশের মুসলমান আনন্দে মেনে উঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোয় যার চিত্র ফুটে ওঠেছে। অনেকেই তুরস্কের রাজপথে বিজয়ী জনতার আনন্দ মিছিলসহ ঘটনার নানা ছবি শেয়ার করতে থাকে। মিসর, সউদীআরব, সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের সব দেশে আনন্দ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিতে থাকেন হাজার হাজার মানুষ। সরকারি পর্যায়ে স্বস্তি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন অনেক দেশের শাসক মন্ত্রী বা দায়িত্বশীল মুখপাত্র। আন্তর্জাতিক ইসলামী সংগঠন সংস্থা ও ব্যক্তিত্বকেও দেখা যায় টুইটকর্তা, ইন্সটাগ্রাস, ফেসবুকে আল্লাহর দরবারে তাদের শুকরিয়া এবং তুরস্কের প্রতি শুভেচ্ছা জানাতে।
শুরুতে উপমহাদেশের মুসলমানরাও উদ্বিগ্ন ছিলেন। বিপর্যয় কেটে যাওয়ায় তাদের অনেকেই শোকরানা নামাজ আদায় করেন। বিশ্বের প্রায় দু’শ কোটি মুসলমানই তুরস্কের বর্তমান সরকারকে জননন্দিত একটি সংস্কারবাদী ভিশনারি সরকার বলে মনে করে। ইসলামবিরোধী পাশ্চাত্যবাদী চক্র ও ধর্মহীনতার প্রবক্তাদের ষড়যন্ত্রে নিষ্পেষিত তুর্কি জনগণকে প্রকৃত স্বাধীনতা ও আত্মমর্যাদার পথে এগিয়ে নেয়া সাহসী নেতা এরদোগানের পক্ষে সেটা বিশ্বের শান্তিবাসীদের সমর্থন দিন দিনই বাড়ছে। মধ্যপ্রাচ্যের এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তার স্ট্যাটাসে লিখেন, তিন লাখ সিরীয়কে আশ্রয় ও নাগরিত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত আপনাকে অমর করবে হে এরদোগান। মিসরের এক চিকিৎসক লিখেছেন, বলতে পারেন কেন বিশ্বের দু’শ কোটি মুসলমান তার জন্য দোয়া করে? কেন তার শুভকামনা করে? সব মুসলিম শাসকদের বলব, রজব তাইয়ের এরদোগানের মতো সাহসী ও স্বাপ্নিক হোন। বিপদে মানুষ আপনাদের ডাকেও রাজপথে নেমে আসবে। কোটি মানুষের দোয়ায় আপনারাও ভালো থাকবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।