Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু বলব না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গুলশান ও শোলাকিয়া হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত ও মদদদাতারা চিহ্নিত
বিশেষ সংবাদদাতা : রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়াসহ সাম্প্রতিক হত্যাকা-গুলোর সঙ্গে জড়িতদের এবং তাদের মদদদাতাদের চিহ্নিত করা গেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি তদন্তের স্বার্থে এখনই এ ব্যাপারে এর বেশি কিছু বলবেন না বলে গতকাল (শনিবার) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, যারা গুলশান ও শোলাকিয়ার হামলা প্রসঙ্গে পুলিশ নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করছেন তাদের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের কোনো ধরনের সখ্য রয়েছে কিনা এ বিষয়গুলোও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, পহেলা জুলাই যেদিন ঘটনা ঘটে সেদিন গোয়েন্দাদের কিছু আগাম সতর্কবাণী ছিল যে ঢাকা শহরে বা বিশেষ করে কোনো কোনো অঞ্চলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেজন্য আমাদের ডিএমপি কমিশনার পুলিশ কর্মকর্তাদের সবাইকে ঘটনা সম্পর্কে বলেছিলেন এবং কার কী করণীয় সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। ওইখানে যারা ছিলেন এবং বাইরের যারা ছিলেন সবাইকে বলেছিলেন একটু খেয়াল রাখার জন্য।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা দেখেছেনÑ ঘটনা ঘটার পাঁচ মিনিটের মধ্যে ফারুক নামের পুলিশের এসআই দ্রুতই সেখানে যান। তিনি যখন গুলিবিদ্ধ হন তখন যারা যারা কর্মরত বা অপেক্ষমাণ ছিলেন তার মধ্যে ওসি সালাহউদ্দিন ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সালাহউদ্দিন দুঃসাহসী মানুষ ছিলেন। তিনি সেই দিন সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং গ্রেনেড দিয়ে আহত হয়ে শাহাদতবরণ করেন। তিনি কর্তব্যরত অবস্থায় জঙ্গিদের প্রতিরোধ করার জন্য, ধরার জন্য গেলেন। পুরো দেশের মানুষ উৎসাহিত করেছেন তাকে, তার জীবন বাজি রেখে জঙ্গিদের মোকাবেলার জন্য তিনি গিয়েছিলেন। তবে কয়েকজনের কথা দেখলাম, সালাহউদ্দিন সেখানে গেছেন কেন, এটা নিয়ে প্রশ্ন! তিনি একটা ভিন্ন থানার ওসি হয়ে সেখানে কেন যাবেনÑ এসব প্রশ্ন!
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, আমি বলতে চাই পুলিশ কমিশনারের নির্দেশেই তারা সজাগ ছিলেন এবং তাৎক্ষণিকভাবে সব থানা থেকে ফোর্স গিয়েছিল। সেটিকে স্বীকৃতি না দিয়ে যারা এ ধরনের কথা বলেন, তারা হয়তো না জেনে বলেন, কিংবা উদ্দেশ্যমূলকভাবে বলেন কিংবা সন্ত্রাসের সঙ্গে তাদেও কোনো সখ্য আছে কিনা সেটাও এখন ভাবার বিষয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগুন-সন্ত্রাস করে যারা সরকারকে পর্যুদস্ত করতে চেয়েছিল তারা ব্যর্থ হয়ে গুপ্তহত্যায় লিপ্ত হয়েছিল। তারাই টার্গেট কিলিং করছে। তবে সে প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয়েছে। সরকার এগুলো মোকাবিলা করে ওভারকাম করে চলছে।
গুলশানে হত্যাকা-ের পর একটি বৃহৎ রাষ্ট্র সৈন্য পাঠাতে চেয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব-উল-আলম হানিফ। এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে এক সাংবাদিক জানতে চান যে এটা রাষ্ট্র কী যুক্তরাষ্ট্র?
এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকা সৈন্য পাঠাতে চায়নি। তবে নিশা দেশাই বিসওয়াল কিছু কিছু ক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছেন। তথ্য আদান-প্রদানসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কয়েকটি ক্ষেত্রে কী ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন সরকার এখন সেটাই খতিয়ে দেখছে। এরপরই বলা সম্ভব হবে যে আমেরিকার কতটুকু সহযোগিতা বাংলাদেশের প্রয়োজন। নিজেদের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তারপর সহযোগিতা চাওয়া হবে।
গুলশান হামলার আগে যে সাঁড়াশি অভিযান হয়েছিল, এখন আবার তা চলবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের অভিযান সব সময়ই চলে। কখনো ঘোষণা দিয়ে চলে কখনো ঘোষণা ছাড়াই চলে। প্রয়োজন হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যে কোনো সময় অভিযান চালাতে পারে।
তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের বিষয়ে সরকারের মন্তব্য জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে তুরস্কের বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। তবে সব ধরনের হামলা ও হত্যাকা-ে নিন্দা জানাই আমরা।
ফ্রান্সের হামলার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এটা একটা গ্লোবাল থ্রেট। সন্ত্রাসীদের হামলা থেকে এখন কোনো দেশই নিরাপদ নয়। এসব হামলা সবাইকে একজোট হয়ে মোকাবিলা করা উচিত।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু বলব না স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ