Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আড়াই বিলিয়ন ডলারের অর্ডার হারানোর আশঙ্কা

তৈরি পোশাক খাতে জঙ্গি হামলা আতঙ্ক

প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলা আতঙ্কের কারণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত চলতি মৌসুমে ২ থেকে আড়াই বিলিয়ন ডলারের অর্ডার হারাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস বায়িং অ্যাসোসিয়েশন। আর তাই রপ্তানিমুখী পোশাকশিল্প বাঁচাতে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য সৃষ্টির কথা বলেছেন। যার মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে ওই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা নির্ধারণ সম্ভব হবে।
গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী ইফতেখার হোসাইন বাবুল এ সব কথা জানান। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলামসহ অন্যরা এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, শুধুমাত্র চলতি মৌসুমেই ৬০ শতাংশ পোশাকের অর্ডার হয়ে থাকে। এর মধ্যে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ অর্ডার অন্যদেশে চলে গেলে এ খাতে ২ থেকে আড়াই বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হবে। এ অর্ডার ক্রয়াদেশ অন্য দেশে চলে গেলে এ খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইফতেখার হোসাইন বলেন, দেশের মোট রফতানির ৮২ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এসব পোশাকের অর্ডার হয় দুটি মৌসুমে। এর মধ্যে জুলাই-আগস্টের গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে পশ্চিমা ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ বেশি হয়। তিনি বলেন, সম্প্রতি গুলশান হামলায় যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের মধ্যে নয়জন ইতালীয়সহ ভারতীয় একজনের বাবা বায়িং ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। এর ফলে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে ‘এইচ অ্যান্ড এম’ বাংলাদেশ থেকে তাদের ব্যবসা সংকোচনের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গেই ভাবছেন। আরো অনেক বিদেশি ক্রেতাও নতুন করে ব্যবসা সম্প্রসারণ না করার চিন্তা করছেন। এছাড়া অনেক বায়িং হাউসকে ক্রেতারা তাদের নেতিবাচক অবস্থানের কথা জানিয়েছেন। যা এ খাতের জন্য আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সাম্প্রতিককালে গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের মধ্যে ১৭ জন বিদেশি নাগরিক। বিদেশিদের মধ্যে ৯ জন হচ্ছেন ইতালির নাগরিক। তারা ৯ জনই পোশাকশিল্প ব্যবসার সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন। এ হামলার ফলে দেশের তৈরি পোশাক খাতে নেতিবাচক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে কাজী ইফতেখার হোসাইন বাবুল বলেন, এর ফলে আমরা যারা এ ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত, তারা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। আমরা আশা করছি, সরকার সামগ্রিক দৃষ্টিতে বিষয়টির পর্যালোচনা করে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আড়াই বিলিয়ন ডলারের অর্ডার হারানোর আশঙ্কা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ