পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ‘৪৮ ঘণ্টা শপিং মলে যাবেন না, নিজে সতর্ক হোন আত্মীয়দের সতর্ক করুন।’ মেসেজটি আমি আমার এক আর্মি বন্ধুর কাছ থেকে পেয়েছি। ভাইবারে এ ধরনের মেসেজ পাওয়ার পর তা মোবাইল বার্তায় গতকাল সকাল থেকেই ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। এছাড়া কারো করো কাছে মেসেজের শেষে ইউএস (যুক্তরাষ্ট্র) অ্যাম্বাসি বলে উল্লেখ করা হয়। একাধিক সাংবাদিকের ব্যক্তিগত মুঠোফোনেও এসএমএসটি এসেছে। বিষয়টি পুলিশের নজরেও গেছে। তারা নম্বরটি শনাক্ত করার চেষ্টা করছে বলেই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
যদিও এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ইউএস অ্যাম্বাসি বা আর্মির কেউই এ ধরনের এসএমএস কোথাও কারো কাছে পাঠাননি বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে ক্ষুদে বার্তার এ তথ্যগুলো সম্পূর্ণ ভুয়া এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
কিন্তু এ ধরনের তথ্য এসএমএসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নগরবাসী। তবে ক্ষুদে বার্তাটির মূল প্রেরণকারী সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য বা প্রমাণ মেলেনি কারো কাছে। এদিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারাও বিষয়টি জেনেছেন। যাচাই না করে আতঙ্কিত হয়ে এ ধরনের এসএমএস ছড়ানোর কাজে সহায়তা করার বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছেন তারা।
একের পর এক বার্তা এবং ঘটনার সত্যতার বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ শাখার উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ক্ষুদে বার্তাটি ভুয়া বলেই মনে হচ্ছে। আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছি। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ধরনের এসএমএসের বিষয়ে আমরা জানতে পেরেছি। প্রয়োজনীয় সতর্কতা নেয়া আছে। এমনিতেও পুলিশ শপিং মলসহ রাজধানীর নিরাপত্তায় ব্যাপক তৎপর রয়েছে। যাচাই না করে এ ধরনের এসএমএস ছড়িয়ে না দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। কে বা কারা কোথায় থেকে কেন এমন ক্ষুদে বার্তা ছড়ালো তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।