পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের সমালোচকের কোনো অভাব নেই। পশ্চিম সংবাদমাধ্যমে চোখ রাখলেই প্রতিদিন মুসলিম বিশ্বের এই নেতাকে নিয়ে বিষোদ্গার করে কোনো না কোনো রিপোর্ট-নিবন্ধ চোখে পড়বেই। কিন্তু ‘গণতন্ত্র চর্চা করছেন না’ বলে অভিযোগ তোলা পশ্চিমাদের কাছে এত অপছন্দনীয় হলেও বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের অধিকার নিয়ে উচ্চকণ্ঠ এরদোগান তার দেশে বরাবরই ছিলেন জনপ্রিয় নেতা। তার প্রতিষ্ঠিত একে পার্টি ২০০২ সালের পর থেকে পাঁচ-পাঁচটি জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছে, যার চারটিতেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। পর পর তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পর এখন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে তুরস্কের অবিসংবাদিত নেতায় পরিণত হয়েছেন তিনি। কিন্তু গত শুক্রবার রাতের তুরস্কে সম্ভাব্য সামরিক ক্যুর ঘটনাপ্রবাহে এরদোগানের ক্যারিশমেটিক ক্ষমতার ম্যাজিক এবং জনপ্রিয়তা যেন আগের সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে। ‘তুরস্কের সুলতান’ বলে পরিচিত এরদোগান সত্যিকারের জননায়কের মর্যাদায় আসীন হয়েছেন এদিন। তুরস্কের মানুষ প্রমাণ করেছে তারা তাদের নেতাকে কতটা ভালবাসে। যখন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনসহ উল্লেখযোগ্য সব যোগাযোগের মাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে বিদ্রোহী সেনারা, এমন সময় দেশের ভেতরে অবস্থান না করেও শুধু ইউটিউব ব্যবহার করে তার একটি আহ্বানে লাখো মানুষ যেভাবে সাড়া দিয়ে মুহূর্তেই রাজপথে নেমে ট্যাংকের সামনে শুয়ে পড়ে একটি সম্ভাব্য ক্যু ঠেকিয়ে দিয়েছে, তা এ যুগে বলতে গেলে নজিরবিহীন। নেতার প্রতি ভালোবাসা এবং গণতন্ত্রের প্রতি নিজেদের প্রতিশ্রুতি প্রদর্শনের এই ঘটনা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
অভ্যুত্থানের মধ্যেই ইস্তাম্বুল ফিরলেন এরদোগান
সামরিক বাহিনীর চলমান অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার মধ্যেই শনিবার ভোরে ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান। বিমানবন্দরে নেমেই তিনি মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের। এ সময় অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে এর হোতাদের কঠোর পরিণতির মুখোমুখি করার হুঁশিয়ারি দেন এরদোগান।
এর আগে শুক্রবার রাতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের ঘোষণা দেয় তুরস্কের সামরিক বাহিনীর একটি গ্রুপ। এ সময় ইস্তাম্বুলের এশীয় ও ইউরোপীয় অংশের মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী সেতুগুলো বন্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি সেনা সদস্যরা দখল করে নেয় সরকারি টেলিভিশন টিআরটিসহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের অফিস। এছাড়া ট্যাংক মোতায়েন করা হয় ইস্তাম্বুল ও আঙ্কারার প্রধান প্রধান রাস্তায়। বন্ধ করে দেয়া হয় বিমানবন্দরগুলোও। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও ইস্তাম্বুলে ফিরে ক্ষমতার রাশ নিজের হাতে টেনে নিতে সক্ষম হন নব্য অটোমান সুলতান।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইস্তাম্বুল ও রাজধানী আঙ্কারার বিভিন্ন স্থানে রাজপথে নেমে এসেছেন এরদোগান সমর্থকরা। তবে এখনও বিভিন্ন স্থান থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম। এছাড়া বেশ কিছু জায়গায় অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর অভ্যুত্থান সমর্থক সেনারা গুলি চালিয়েছে বলেও জানা গেছে।
এরদোগানকে ঘিরে জনতার উল্লাস
প্রেসিডেন্ট এরদোগান মারমারিস থেকে ইস্তাম্বুলে ফিরতেই তার সমর্থনে রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ। সমর্থক পরিবেষ্টিত এরদোগান আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তিনি ইস্তাম্বুল ছেড়ে কোথাও যাবেন না। অভ্যুত্থানের জন্য তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত বিতর্কিত ধর্মগুরু ফেতুল্লাহ গুলেন সমর্থিত গুলেন নেটওয়ার্ককে দায়ী করেন। পাশাপাশি যে বা যারা এই অভ্যুত্থান প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত তাদের কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।