এফ আর টাওয়ারের ঘটনা : জামিন পেলেন বিএনপি নেতা তাসভীর
রাজধানীর বনানীতে এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার বিএনপি নেতা তাসভীরউল ইসলাম জামিন পেয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মো.তোফাজ্জল হোসেন জামিনের আদেশ
৫. স্বপ্নে আপ্লুত হয়ে পড়া
সফলতার প্রধান সূত্র হচ্ছে আপনাকে স্বপ্ন দেখতে হবে এবং সেই স্বপ্নকে সত্যি করতে কাজ করে যেতে হবে। কিন্তু তাই বলে স্বপ্ন দেখে সফলতার কথা ভেবে কাজ বন্ধ করে দিলে তো আর চলবে না। বাস্তবতা হচ্ছে সবাই বড় হতে চায় এবং সবাই-ই স্বপ্ন দেখে। অনেকে স্বপ্ন দেখে এত খুশি হয়ে যায় যে স্বপ্ন সত্যি করার জন্য কাজ না করে খুশিতে সবাইকে বলে বেড়ায় এবং শুধু পরিকল্পনা করা এভাবে কেউ কোনো দিন তার স্বপ্ন সত্যি করতে পারেনি এবং এভাবে জীবন চলে না। আপনি যদি জ্ঞানী-গুণী মানুষ যেমন মার্টিন লুথার কিংকে দেখেন দেখবেন যে তারা দীপ্ত কণ্ঠে বলেছেন “ও যধাব ধ ফৎবধস “, এবং পরবর্তীতে সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তর করতে আজীবন কাজ করে গেছেন। বলা হয় মার্টিন লুথার কিং-এর শ্রমের কারণেই আজ আমেরিকা পেয়েছে একজন কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট। তাই, যদি আপনার মনে উদ্যোক্তা হবার স্বপ্ন থাকে তাহলে বসে না থেকে কাজে লেগে পড়ুন।
৬. অধৈর্য মনোভাব
সফল ব্যক্তিরা অধৈর্য হয়ে পড়েন না, কখনই। তারা জানেন যে, পৃথিবীতে যেমন দিন এবং রাত আছে তেমনি ভালো এবং খারাপ সময় আছে। সফল ব্যবসায়ী বা উদ্যোক্তারা ভালো সময়ে যেমন আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন না তেমনি খারাপ সময়ে অধৈর্যও হয়ে পড়েন না। তারা বিশ্বাস করেন যে রাত যত গভীর হয় প্রভাত তত নিকটে আসে। তাই আপনার মধ্যে যদি বড় কিছু হবার স্বপ্ন থাকে তাহলে আপনি যেই সেক্টর-এ কাজ করছেন তার সবকিছু বিবেচনা করে কাজ করে যান। আপনি সফল হবেন।
তবে অবশ্যই পরিকল্পনা করে সবকিছু বিবেচনা করেই কাজ করবেন। কেননা পরিকল্পনাবিহীন অগোছালো কাজ করা আপনাকে কখনই বিজয় এনে দেবে না। মনে রাখা জরুরি যে, পরিকল্পিত ঝুঁকি নেয়া এক ব্যাপার এবং সুনিশ্চিত ভরাডুবি জেনেও উদ্যোগ নেয়া সম্পূর্ণ আলাদা ব্যাপার। সফল মানুষেরা ঝুঁকি নেয়, কিন্তু আত্মহত্যা করে না।
৭. অল্পতে সন্তুষ্টি
সফল ব্যক্তিদের সাথে কাজ করার ক্ষেত্রে প্রধান সমস্যা হলো তারা মোটামুটি কাজে বা গা-ঢাকা কাজে সন্তুষ্ট হন না এবং সফল ব্যক্তিরা যারা মোটামুটি কাজ করে দ্রুত আয় করার চেষ্টা করেন তাদেরকেও পছন্দ করেন না। কথাটি বলছেন ডধষঃবৎ ওংংধপংড়হ যিনি বিখ্যাত বই “ঝঃবাব লড়নং”-এর লেখক। তার মতে স্টিভ জবস যখন এপেল-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ছিলেন তখন অধিকাংশই তাকে মনে-প্রাণে ঘৃণা করতেন কেননা স্টিভ জবস কখনই মোটামুটি কাজ করা পছন্দ করতেন না এবং এই ধরনের কাজ যারা করে তাদের পছন্দ করতেন না। এপেল-এ দায়সারা কাজে বিশ্বাসীদের অনেককে স্টিভ জবস সাথে সাথে চাকরিচ্যুত করেছেন বলেও জানা যায়।
স্টিভ জবস এক ইন্টারভিউতে বলেছেন “আপনি যদি আপনার কোম্পানিতে ই-ক্লাস লোকদের নিয়োগ করেন তাহলে তারা আরো ই-ক্লাস লোক নিয়ে আসবে এবং একসময় এই ই-ক্লাস পারফরমাররা আরো ই-ক্লাস লোক নিয়ে আসবে। এক সময় আপনার কোম্পানিতে ই-ক্লাস মানুষ নিয়োগপ্রাপ্ত হব, কিন্তু পরবর্তীতে কখনোই আর অ-ক্লাস কর্মীরা আপনার কোম্পানিতে আসবে না কেননা অ-ক্লাস মানুষেরা কখনই ই-ক্লাসদের সাথে কাজ করে না”। তাই আপনি যদি হতে চান বেস্ট তাহলে ই বা ই-ক্লাস কর্মীদের মতো দায়সারা মনোভাব না রেখে অ-ক্লাসদের মতো সব সময় বেস্ট কাজতা করতে শিখুন।
১ তামান্না তানভী
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।