পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস মহামারী দুর্যোগ থামিয়ে দিলো নির্মাণাধীন দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার-ঘুনধুম রেলপথ মেগাপ্রকল্প। সরকারের বিশেষ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ১০ মেগাপ্রকল্পের অন্যতম এটি। সরকারের নিজস্ব এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে এই মেগাপ্রকল্পের ব্যয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। চীনা কারিগরি সহায়তায় প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছিল। নির্মাণকাজ এখন সম্পূর্ণ অচল।
গতকাল মেগাপ্রকল্পের সর্বশেষ অবস্থা প্রসঙ্গে রেলওয়ের প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মফিজুর রহমান ইনকিলাবকে জানান, করোনা সংক্রমণরোধ পরিস্থিতি ও টানা ছুটিতে প্রকল্পস্থলে সবধরনের নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের সাার্বিক কাজে ৪০ শতাংশ অগ্রগতি হয়। বর্তমানে প্রকল্পে কর্মরত ৭০ জন চীনা প্রকৌশলীরা কক্সবাজারে অবস্থিত প্রকল্পের ক্যাম্পে অলস বসে আছেন। কেননা গত ২৭ মার্চ থেকে নির্মাণ শ্রমিক-কর্মচারী, কারিগররা ওদের বাড়িঘরে চলে গেছেন। এ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত কাজ সচল ও অনিশ্চিত।
তিনি বলেন, সরকারের ফার্স্ট ট্র্যাক ১০ বিশেষ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত মেগা প্রকল্পের অন্যতম এ প্রকল্প কাজ ২০২২ সালের জুনের মধ্যে বাস্বতবায়ন শেষ করার টার্গেট ছিল। যা এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। মেগাপ্রকল্পের উদ্দেশ্য রাজধানী ঢাকা ও বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সঙ্গে সরাসরি রেলপথে বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত কক্সবাজারের সংযোগ স্থাপন এবং পর্যটন শিল্পে যুগান্তকারী উন্নয়ন।
শুধুই তাই নয় রামু থেকে সীমান্তবর্তী ঘুনধুম হয়ে অদূর ভবিষ্যতে চীনের কুনমিং সিটি পর্যন্ত সরাসরি আন্তঃদেশীয় রেলওয়ে যোগাযোগের মাধ্যমে ‘পূর্ব মুখী’ অর্থনৈতিক-কূটনীতি, বিনিয়োগ, শিল্পায়ন এবং ব্যাপক কর্মসংস্থানের দ্বার উন্মোচন।
মেগা প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, করোনার ধকলে কাজ বন্ধ হওয়ার আগে প্রকল্পস্থলে ৩৯টি সেতুর মধ্যে ২৫টির নির্মাণকাজ শুরু হয়। রেল লাইন স্থাপনের জন্য রাস্তা ও জায়গা ভরাটের কাজ চলছিল। ২০১৭ সালে দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রেলওয়ের সঙ্গে চুক্তি অনুসারে কাজ শুরু করে। ঠিকমতোই প্রকল্পের কাজ এগুচ্ছিল। আর করোনা দুর্যোগে তা অচল হয়ে পড়লো।
ঢাকা ও চট্টগ্রামের সাথে সরাসরি রেল যোগাযোগে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত একশ’ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার এবং কক্সবাজার থেকে মিয়ানমার সীমান্তের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত আরো ২৮ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণই হচ্ছে এ মেগাপ্রকল্পের মূল কারিগরি অবকাঠামো দিক। এ রেলপথ অতিক্রম করবে দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া, রামু ও কক্সবাজার এবং পরবর্তীতে ঘুনধুম অবধি।
শতাধিক বছরের অনেকগুলো কারিগরি সমীক্ষার ধারাবাহিকতা শেষে এই রেলপথ স্থাপনে সরকার প্রথম ডিপিপি অনুমোদন দেয় ২০১০ সালে । এটি সরকারের অগ্রাধিকারভিত্তিক প্রকল্পে স্থান পায় ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ৩ এপ্রিল উদ্বোধন করেন দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার এবং রামু-ঘুমধুম রেলপথ মেগাপ্রকল্প।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।