পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম সচল রাখতে সরকার ইতিমধ্যে স্বল্পমেয়াদী ও মধ্যমেয়াদী বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এ কার্যক্রমগুলো দ্রুততার সঙ্গে ও যথাযথভাবে সম্পন্ন করার জন্য একটি শক্তিশালী ‘টাস্কফোর্স’ গঠন করার ব্যাপারে মত দিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোতে নগদ অর্থের সরবরাহ বৃদ্ধির জন্যও জোরালো সুপারিশ করেছেন তারা।
মঙ্গলবার ‘বর্তমান করোনাভাইরাসের প্রভাবে দেশে বিদ্যমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের পদক্ষেপের সঙ্গে সকলকে আরো নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত ও সরকারের কাজে সহযোগিতা বৃদ্ধির’ লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) উদ্যোগে এক সভায় এসব মত দেন। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সভাপতিত্বে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ভিডিও কনফারেন্সে অনুষ্ঠিত সভায় অংশগ্রহণ করেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, মেট্রোপলিটান চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি নিহাদ কবির, ফরেন ইনভেস্টর্স চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)-এর সভাপতি রুপালী চৌধুরী, এমসিসিআই-এর সহসভাপতি আনিস এ খান, সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিইউআইএলডি)-এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম, স্ট্যান্ডার্ড চ্যার্টার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও এমসিসিআই-এর কমিটি সদস্য নাসের ইজাজ বিজয় এবং এমসিসিআই ও বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের মহাসচিব ফারুক আহাম্মাদ। এছাড়া ঢাকাস্থ ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি), বিজিএমইএ ও বিডার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপসমূহ বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর ব্যবসা খাতে বিভিন্ন সহায়তাসমূহের প্রশংসা করা হয়। সভায় আলোচনা করা হয়, বর্তমান পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কঠোরভাবে বলা হলেও সেটি অনেক ক্ষেত্রে জনগণ আমলে নিয়ে কাজ করছে না। সে বিষয়ে ব্যবসায়ীরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তারা উল্লেখ করেনÑ প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং এপ্রিল মাসে করোনা সংক্রমণের সম্ভাব্য বৃদ্ধি বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, দেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখায় প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনে যে কোনো কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে বাধ্য হলে ব্যবসায়ীরা সমর্থন জানাবেন।
তারা উপদেষ্টার সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, এ মূহুর্তে যথাযথভাবেই করোনা সংক্রমণ মোকাবিলাই সরকারের প্রথম এবং সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই ধাক্কা কাটিয়ে উঠলে বাংলাদেশ যথাসময়েই অর্থনীতি ও ব্যবসার ক্ষেত্রে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাবে। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ীরা প্রধানমন্ত্রীর দৃশ্যমান নেতৃত্বের উপর আস্থাশীল।
বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি সকলকেই প্রতিনিয়ত নতুন এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখী করছে। এই প্রেক্ষিতে সরকার থেকে ব্যবসা সম্পর্কিত বিষয়ে প্রায়শই বিভিন্ন সার্কুলার জারির প্রয়োজন হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, এসব সার্কুলার জারির পূর্বে যদি টেলিফোনেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় তাহলে সার্কুলারে বর্ণিত বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ে উপযুক্ত তথ্যাদি সন্নিবেশ করা সহজ হয়। ফলে পরবর্তীতে সার্কুলারে সংশোধনী আনার প্রয়োজন কমে যাবে। উদাহরণ হিসেবে স¤প্রতি প্রধানমন্ত্রী রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারিদের বেতন-ভাতা প্রদানের জন্য যে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছিলেন তাতে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।