পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিমানবন্দর সংসদ ভবন মন্ত্রীপাড়া বিপণিবিতান রেল ও বাস টার্মিনালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন মহাসড়কসহ বিভিন্ন মহানগরীর মোড়ে মোড়ে ও প্রবেশ পথে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা তল্লাশি চেকপোস্ট
উমর ফারুক আলহাদী : দেশে আবারও জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এ জন্য রাজধানীসহ সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। কড়া সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। র্যাবের সব ক’টি ব্যাটেলিয়ন সার্বক্ষণিক দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। গোয়েন্দাদের আশঙ্কা বড় বড় বিপণিবিতান, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, সংসদ ভবন, সচিবালয়, বিভিন্ন বিমানবন্দর ও মন্ত্রীপাড়াসহ স্পর্শকাতর এলাকায় জঙ্গিরা হামলা করতে পারে। জঙ্গি হামলা রোধের লক্ষ্যেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, ময়মনসিংহ, বগুড়া, দিনাজপুরসহ দেশের সব কয়টি জেলা শহরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। মহাসড়কসহ দেশের বিভিন্ন মহানগরীতে চেকপোস্ট বসিয়ে চালানো হচ্ছে ব্যাপক তল্লাশি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও জঙ্গি হামলার আশঙ্কা ব্যক্ত করার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে জাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, রাজধানীসহ সারাদেশেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত। তিনি বলেন, এখন আমরা একটা কঠিন সময় অতিক্রম করছি। জঙ্গিবাদ দমন করতে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি নাগরিক সচেতনতার প্রয়োজন।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর গত কয়েক দিন ধরেই রাজধানীসহ সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশের পাশাপাশি র্যাবের সব ইউনিট দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার গুলশান, বনানী, উত্তরা, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, ভাটারা, রমনা, বারিধারা, জাতীয় সংসদ ও ধানমন্ডি এলাকায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা গেছে। এদিকে হঠাৎ নিরাপত্তা জোরদার হওয়ায় রাজধানীবাসীর মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। অনেকেই ভাবছেন আবারো কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান বলেন, রাজধানীবাসীর নিরাপত্তা জোরদারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও কূটনৈতিক এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। সার্বক্ষণিক পুলিশ রয়েছে ওই এলাকায়। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কারসহ বিভিন্ন যানবাহনে সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করা হচ্ছে।
গতকাল গুলশান থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি গুলশানে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পর আরো নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন দূতাবাসেও রয়েছে বাড়তি সতর্কতা।
ভাটারা থানার ওসি নুরুল মোত্তাকীন বলেন, যমুনা ফিউচার পার্কে সেখানকার নিরাপত্তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠেছে। তাই ওই এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতি জোরদার করা হয়েছে।
পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার বিধান ত্রিপুরা বলেন, এ এলাকায় অনেক বিদেশী রয়েছে। তাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি উত্তরাবাসীরও নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। এদিকে রমনা এলাকায় দেখা গেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অফিসের প্রবেশপথ ও অফিসার্স ক্লাবের প্রবেশপথে রমনা পার্কে যাওয়ার রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ। ওই এলাকার সব কয়টি রাস্তায় পুলিশ যানবাহন থামিয়ে ব্যাপক তল্লাশি করছে।
পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার শাহ মিজান সফিউল রহমান বলেন, গুলশানে হামলার পর থেকেই রমনার বিভিন্ন প্রবেশপথে পুলিশ নিরাপত্তার প্রয়োজনে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে।
নিকেতনের প্রবেশপথের চারটি গেটের একটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে জানিয়ে গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, সেখানে নিরাপত্তার প্রয়োজনে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। গুলশানে প্রবেশপথগুলোতে অন্তত ১৫-১৬টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
উত্তরা মডেল টাউন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা ব্যাপক বাড়ানো হয়েছে। উত্তরায় সব কয়টি সেক্টরে বসানো হয়েছে নিরাপত্তা তল্লাশি চেকপোস্ট। পুলিশের কর্মকর্তারা ওই এলাকার নিরাপত্তা বেষ্টনী জোরদার করার কারণ হিসেবে বলছেন, উত্তরা এলাকায় প্রচুর বিদেশি বসবাস করেন। এ জন্য প্রতিটি বাসায় পুলিশ বিদেশিদের সম্পর্কে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন।
উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আলী হোসেন বলেন, যেহেতু আমার এলাকায় বিদেশিদের বসবাস বেশি, সেহেতু আমাদের বেশি দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। এছাড়া সব কয়টি বিপণিবিতান ও গুরুত্বপর্ণ স্থাপনাগুলোতে পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।