পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যশোর ব্যুরো : বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতা যশোরের জনপ্রতিনিধি সবার প্রিয় ‘রাজু দা’ আলী রেজা রাজু ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সবসময় তার মুখে হাসি থাকতো। সদালাপী হওয়ায় দলমত নির্বিশেষে তিনি ছিলেন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। তার মৃত্যুতে যশোরের রাজনৈতিক অঙ্গণের অপুরণীয় ক্ষতি হলো। তিনি দীর্ঘদিন কিডনি রোগে ভুগছিলেন। কয়েকদিন তার অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। তাকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। চিকিৎসকরা শুক্রবার বেলা ১২টা ৪৯ মিনিটে তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেন এবং মৃত ঘোষণা করেন।
আলী রেজা রাজু’র ভাই মুক্তিযোদ্ধা সংসদ যশোর জেলা কমান্ডের কমান্ডার রাজেক আহমেদ জানান, আলী রেজা রাজুর জন্ম ১৯৪৫ সালে যশোর সদর উপজেলার কাশিমপুরে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য অনুসারী ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। আজ শনিবার রাজু’র লাশ যশোর এসে পৌঁছাবে।
আলী রেজা রাজু বিএনপির যশোর জেলা কমিটির সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। যোগদানের মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে মনোনয়ন পেয়ে যশোর সদর আসনে প্রার্থী হন। ওই নির্বাচনে তিনি তার ঘনিষ্ঠ দুই বাল্যবন্ধু বিএনপির তরিকুল ইসলাম এবং জাতীয় পার্টির খালেদুর রহমান টিটোকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংসদ সদস্য ছাড়াও আলী রেজা রাজু সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, যশোর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং যশোর পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি সমাজসেবক ছিলেন। তাছাড়া ‘প্রভাতফেরী’ নামে একটি দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকম-লীর সভাপতি ছিলেন। ওই পত্রিকাটির প্রকাশক ছিলেন তার স্ত্রী ফিরোজা রেজা।
প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মহলের শোক
যশোর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আলী রেজা রাজু’র মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি। গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে দেয়া এক শোকবিবৃতিতে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য, যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলী রেজা রাজু’র মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
বিবৃতিতে তিনি মরহুম আলী রেজা রাজু’র আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এছাড়া আলী রেজা রাজু’র ইন্তেকালে এলজিআরডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী খালেদুর রহমান টিটো, যশোর পৌর মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুসহ রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ শোক প্রকাশ করেছেন।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার মো: ফজলে রাব্বী মিয়া ও চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ এক শোকবার্তায় মরহুমের ইন্তেকাল গভীর শোক প্রকাশ করেন
এদিকে আওয়ামী লীগ দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ জানান, গতকাল বাদ আছর মরহুমের বাসভবনে (বাড়ি-১, সড়ক-১১৩/এ, গুলশান-২, ঢাকা) প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় নামাজে জানাযা আজ শনিবার সকাল ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এবং তৃতীয় নামাজে জানাযা বাদ আছর যশোর ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। নামাজে জানাযা শেষে তাকে যশোর শহরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।