পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদ শেষে জমেনি রাজধানীর কাঁচাবাজার
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : নানা অজুহাতে বাড়ছে চিনির বাজার। রোজার শুরু থেকেই শেষ পর্যন্ত বৃদ্ধির পরেও থেমে নেই দর বৃদ্ধি। ঈদের পরেও বাড়তি দাম। সংশ্লিষ্টদের মতে, অসাধু ব্যবসায়ী চক্রের সিন্ডিকেটের কবলে অস্থির চিনির দাম। রোজার শেষের দিকে চিনির দাম বেড়েছে। আর কমছে না। চিনির দামটা নাগালের ভিতরে আসা দরকার। এনিয়ে নানা আলোচনা ও উদ্যোগেও কোন কাজ হচ্ছে না। যদিও বিক্রেতাদের অজুহাত যান্ত্রিক ত্রুটিতে মিল বন্ধ থাকা, মিল গেটে দিনের পর দিন ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখা, শুল্ক বৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণ দেখিয়ে কয়েক দফায় চিনির দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে ঈদের নবম দিন ছিল গতকাল। অফিস থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিপণী বিতান সবই খুলেছে। তবুও যেনো ফাঁকা রাজধানীর ব্যস্ততম সব সড়ক ও মার্কেট। তেমনি উপস্থিতি কম কাঁচাবাজারে। ক্রেতা কম থাকায় নিয়মিত দামের অতিরিক্ত দাম আদায় করছেন খুচরা বিক্রেতারা। যদিও ঈদের পরে মুরগীসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কমলেও বেড়েছে চিনি। আদাসহ সকল প্রকার সবজির দাম কমেছে।
গতকাল রাজধানী বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, নিয়মিত বেচাকেনা শুরু হয়নি। বাজারের অনেক দোকানই এখনো খোলেনি। সেই যেসব দোকান খুলেছে তারা অল্প বিক্রির অজুহাতে বাড়তি দাম রাখছে। বাজারে গরুর ও খাসির গোশতের দাম কিছুটা বেড়েছে। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে গরুর গোশত বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকায়। আর খাসির গোশত বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা প্রতি কেজি। রাজধানীর দুই সিটি মেয়র গোশতের দাম বেঁধে দিলেও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে গোশত।
এদিকে বেড়েই চলেছে চিনির দাম। রমজানের শুরুতে চিনির কেজি ছিল ৬২ টাকা। রমজানের শেষের দিকে ৭০ টাকা। আর এখন চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকা করে। চিনি নিয়ে এতো আলোচনার পরেও সিন্ডিকেটের সাথে পেরে উঠেনি সরকার। ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি কাঁকরোল ৫০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা ও ঝিঙা ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ ৫০ টাকা, দেশী শসা ৫০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৩০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, গোল ও লম্বা বেগুন ৫০ টাকা এবং তাল বেগুন ৮০ টাকা, শিম ১৮০ টাকা, টমেটো ১২০-১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রোজার তুলনায় বেশকিছু সবজি কেজিতে গড়ে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ঈদের আগে কাঁচাকলার হালি ৩০ টাকা থাকলেও এখন তা ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা দরে। এছাড়া দেশী পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ২৮ থেকে ৩০ টাকা, দেশী মসুর ডাল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এক্ষেত্রেও আদা ছাড়া অন্য সব পণ্যের দামই কেজিপ্রতি ২ থেকে ৩ টাকা করে বেড়েছে। বাজারে আমদানিকৃত প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায়। ঈদের আগে প্রতিকেজি আমদানিকৃত রসুন বিক্রি হয়েছিল ১৪০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা। অথচ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি রসুনের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। প্রতিকেজি দেশী রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১৩০ টাকায়।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০-২৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৭০ টাকা দরে। এছাড়া লেয়ার মুরগিও কেজিতে প্রায় ৪০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা করে। তবে আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে দেশী ও পাকিস্তানি মুরগি। আকার ভেদে প্রতি পিছ পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা।
বাজারে বেশিরভাগ মুদি পণ্যের দামে তেমন কোনো পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। মুদি পণ্যের মধ্যে দেশী মসুর ডাল প্রতিকেজি ১৪০-১৫০ টাকা, আমদানি করা মোটা মসুর ডাল ১১০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। ভোজ্য তেলের মধ্যে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮৫ টাকা, সুপার ৭৫ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি ৫ লিটারের বোতল পাওয়া যাচ্ছে ৪৪০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকার মধ্যে। এছাড়া মান ভেদে প্রতি কেজি খোলা সরিষার তেল ১২০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সরকারি সংস্থা টিসিবি প্রতিলিটার সয়াবিন তেল বিক্রি করছে ৮০ টাকায়।
বাজারে আকার ভেদে প্রতি জোড়া ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকা থেকে ৪ হাজার টাকায়। এছাড়া রুই মাছ প্রতি কেজি ৩৫০-৫৫০ টাকা, ছোট আকারের রুই ২৫০-৩০০ টাকা, কাতলা ৪০০-৫৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২৪০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে। আকার ভেদে প্রতিকেজি গলদা চিংড়ি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা, বড় শিং মাছ ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, দেশী মাগুর ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, বেলে মাছ ৫০০ টাকা, রূপচাঁদা ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।