পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টিকারী বেপরোয়াদের ঘরে থাকতে বাধ্য করছে প্রশাসন। যথেচ্ছ ঘোরাঘুরি, আড্ডা, ভিড়-জটলা এমনকি আড্ডাস্থল থেকে গুজব ছড়ানো বন্ধে বন্দরনগরীসহ সমগ্র চট্টগ্রামজুড়ে গোটা প্রশাসনের কঠিন-কঠোর অবস্থান গতকাল (রোববার) দিনভর চোখে পড়ে। গত ২৪ ঘণ্টায় নগরীর বিভিন্ন স্থানে যৌথ অভিযানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সরকারি নির্দেশ লঙ্ঘনের হাতেনাতে ধরা ঘটনায় ৬৬ টি মামলা রেকর্ড হয়। জরিমানা হয় প্রায় এক লাখ টাকা। ১০টি বিশেষ টিমের একযোগে অভিযান অব্যাহত আছে। সরকারের কঠোর পদক্ষেপের প্রতি সাধারণ জনগণের সাড়া-সমর্থন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এরফলে জনমনে ফিরছ কিছুটা স্বস্তি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে হুজুগবাজদের ঘরে ফেরাতে পুলিশ-র্যাবসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের যৌথ অভিযান চলছিল সেনাবাহিনীর সহায়তায়। আইন অমান্যকারীদের দেখামাত্র লাঠিপেঠা ও তাড়া করতে দেখা যায়। হচ্ছে অর্থদন্ডও। অভিযানের মুখে আড্ডাখোররা পালাচ্ছে।
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ও চট্টগ্রাম করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও মোকাবিলা কমিটির সভাপতি আ জ ম নাছির উদ্দীর ইনকিলাবকে বলেন, ওসব কান্ডজ্ঞানহীন আড্ডাবাজ ও জটলাকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর হওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। এই ঝুঁকি একদম চলতে দেয়া হবে না। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, করোনা সংক্রমণরোধে জনসাধারণকে বাড়িঘরে অবস্থান করতেই হবে। কাউকে ছাড় নয়। জনস্বার্থে নির্দেশ অমান্য সহ্য করা হবে না।
নগরীর দামপাড়ায় গত শুক্রবার চট্টগ্রামে প্রথম ৬৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত ও শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি চট্টগ্রামবাসীকে নাড়া দিয়েছে। একে ‘অশনি শঙ্কেত’ দেখছেন অনেকে। আরও সচেতন-সতর্ক হচ্ছেন সাধারণ নাগরিকগণ। ঘরে-বাইরে এ নিয়ে উদ্বেগ। অথচ বেপরোয়ারা যেন ধরাকে সরা জ্ঞানই করেন না। হাট-বাজার, চায়ের দোকান থেকে শুরু করে অলি-গলি, ঘুপচি, ফুটপাত, মাঠে-ঘাটে জড়ো হয়ে জমিয়ে আলাপ-আড্ডায় মত্ত।
এ অবস্থায় শনিবার চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বী এক ভিডিও বার্তায় কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন, কেউ যদি গুজব রটনার অপচেষ্টা চালায় তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশেষে জেলা প্রশাসনের ঘোষিত ‘কঠোর ও কঠিন পদক্ষেপে’র মাঠে বাস্তবায়ন দৃশ্যমান। যৌথ অভিযানের মুখে নগরীসহ জেলার অধিকাংশ স্থানে আড্ডা ঘোরাঘুরি বন্ধের খবর পাওয়া গেছে। বর্তমানে চট্টগ্রাম নগরীর সড়ক অলি-গলিতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে দুই শিফটে ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনা করছেন। তাছাড়া র্যাবের কড়া টহল চলছে শহরময়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।