Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোজায় আমদানি ফলের ভান্ডার নষ্টের শঙ্কা

শফিউল আলম : | প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম বন্দরে একের পর জাহাজে আমদানি পণ্যসামগ্রী খালাস হলেও পরিবহন অচলপ্রায়। এ অবস্থায় গতকাল বিকেলে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বন্দরের সবক’টি কন্টেইনার ইয়ার্ডে উপচেপড়া অবস্থা বিরাজ করে। স্বাভাবিক ধারণক্ষমতা ৪৯ হাজার ২শ’ টিইইউএস প্রায় ছুঁই ছুঁই করছে। বিশেষ ব্যবস্থায় সীমিত জনবল ও করোনা সতর্কতা বজায় রেখে বন্দর ২৪ ঘণ্টা সচল রাখা হয়েছে। তবে আমদানি পণ্যসামগ্রী বোঝাই কন্টেইনার ও খোলা পণ্য খালাস হলেও ৬টি ট্রেনযোগে ঢাকা আইসিডিতে পরিবহণ হচ্ছে মাত্র ২৫ ভাগ। প্রতিদিনই হচ্ছে আমদানি কন্টেইনার খালাস। জাহাজবহর আসা অব্যাহত রয়েছে। 

এহন জট পরিস্থিতিতে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় পড়েছে আসন্ন মাহে রমজান ও পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে আমদানিকৃত বিভিন্ন ধরনের ফলমূল। বিশেষায়িত ফ্রোজেন (রীফার) কন্টেইনারে আমদানিকৃত হরেক ফলমূলের সর্ববৃহৎ ভান্ডারে পরিণত হয়েছে এখন বন্দর। এ মুহূর্তে যার পরিমাণ ২ হাজার ৬৫০ টিইইউএস রীফার কন্টেইনারবাহী প্রায় পৌনে এক লাখ মেট্রিক টন। যা নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ, কাস্টমসও বিপাকে পড়েছে।
শীতাতপ কন্টেইনারে সংরক্ষণে জটিলতার কারণে এর বড় অংশই বিনষ্ট বা পচে যেতে পারে সময়মতো খালাসের অভাবেই। তবে খালাসের সম্ভাবনা কমে আসছে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে। যেহেতু সমগ্র পরিবহন ব্যবস্থাই বন্ধ।
জানা গেছে, মাহে রমজান উপলক্ষে আনীত চট্টগ্রাম বন্দরের জটে আটকে থাকা সর্ববৃহৎ ফলের এ ভান্ডারে রয়েছে আপেল, কমলা, মাল্টা, আঙুর। তাছাড়া আছে আদা, রসুনও। চলতি মার্চ মাসের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকা, মিশর ও চীন থেকে ফ্রোজেন বিশেষ কন্টেইনারে এসব চালান বন্দরে আসে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে টানা ছুটি শাটঢাউন অবস্থায় আমদানিকৃত ফল খালাস আগে হলেও এখন জটগ্রস্থ। আর এসব ফলমূল জাতীয় পণ্য বন্দর থেকে সরবরাহ নিতে পারছেন না আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীরা। যার ফলে বাজারজাতকরণের সম্ভাবনা কমে আসছে। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে নজিরবিহীন সমস্যা। তাছাড়া জটে আটকে থাকা ফলমূল খালাস ও সরবরাহ অনিশ্চিত দুটি কারণে। এক. টানা বন্ধের ফাঁদে ব্যাংক, কাস্টমস, কোয়ারেন্টাইন বিভাগ ও আণবিক শক্তি কমিশনের দপ্তরগুলো সচল না থাকা। দ্বিতীয়ত. বাজারে ভোক্তা নেই, চাহিদাও এ মুহূর্তে মন্দা ও অচলদশা বিরাজ করছে।
আমদানিকারকগণও ফলমূল নিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
বন্দরে বিশেষ ধরনের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কন্টেইনার (রীফার) রাখা হয় বিশেষ ইয়ার্ডে। যাতে পৃথক ও সর্বক্ষণ বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত থাকতে হয়। কিন্ত বর্তমানে মজুদ রীফার কন্টেইনারের মধ্যেই আংশিক ঠিকমতো বিদ্যুৎ সংযোগ কাজ করছে না। কেননা ধারণক্ষমতা উপচে গেছে। এ অবস্থায় আমদানিকৃত রোজার ফলের আংশিক ক্রমেই নষ্ট বা পঁচে যাবার আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফল-ভান্ডার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ