পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : জমি বিক্রি করে মেধাবী মেয়ে সোনালীকে ডাক্তারী পড়াতে চেয়েছিলেন রং মিস্ত্রি বাবা জাকির হোসেন। মেয়ে সাবিহা আক্তার সোনালীকে হারিয়ে শোকে পাথর বাবা কেঁদে কেঁদে বলেন, মেয়ে হারিয়ে আমার কলিজা ছিদ্র হয়ে গেছে।
গতকাল রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সোনালী হত্যার বিচারের দাবিতে এক মানববন্ধনে মেয়ের কথা বলতে বলতে নিজেও কেঁদেছেন এবং সবাইকে কাঁদিয়েছেন শনিবার বাসের চাপায় নিহত সোনালীর বাবা জাকির হোসেন। তিনি বলেন, সোনালী যদি মন্ত্রী, সচিবের মেয়ে হত তাহলে নিশ্চই এতক্ষণে ঘাতক ড্রাইভার গ্রেফতার হত। কিন্তু আমি অসহায় রং মিস্ত্রি হওয়ায় আমার মেয়ের হত্যাকারী ড্রাইভারকে ধরতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। এসময় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মেয়ে হত্যার বিচার না পেলে আমি ঘাতক ড্রাইভার হতেও প্রস্তুত আছি। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে সোনালীর ভাই সাজ্জাদ হোসেন সৈকত অশ্রুভরা কণ্ঠে বলেন, একটা পরিবারের কাছে ভালো বোন, মেধাবী মেয়ে হারানোর ব্যাথা আর অন্য কেউ বুঝবে না। আজ আমার বোনকে হারিয়েছি, কাল অপনাদের বোন হারাবে। এই মৃত্যুমিছিল থামার নয়। তিনি বলেন, জেব্রাক্রসিংয়ের পাশে কোন সাইনবোর্ড নাই, ড্রাইভার কিভাবে বুঝবে? জেব্রাক্রসিংয়ে যদি কেউ মারা যায় তাহলে অন্য জায়গার কী হবে? এসব জায়গায় একটা পুলিশ থাকে না, কোনো ট্রাফিক থাকে না।
এসময় সাজ্জাদ হোসেনের কান্নায় মানববন্ধনে অংশ নেয়া সোনালীর সহপাঠী, উপস্থিত জনতাসহ, সংবাদ কর্মীদেরও চোখ মুছতে দেখা যায়। উল্লেখ্য, শনিবার রাজধানীর শাহবাগে বাস চাপায় মারা যায় মেধাবী ছাত্রী সোনালী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।