পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কারামুক্ত হওয়ার পর বাসায় ফিরেই কোয়ারেন্টাইনে আছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এই সময়ে তার পরিবারের সদস্য ও ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছাড়া আর কারও সাথে সাক্ষাৎ করছেন না তিনি। তবে বাসায় থাকা স্বজন ও দূরে থাকা পরিবারের সদস্যদের সাথে টেলিফোন ও স্কাইপির মাধ্যমে কথা বলছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। শারীরিকভাবে অসুস্থ হলেও মানসিকভাবে শক্ত রয়েছেন আপোষহীন খেতাব পাওয়া এই নেত্রী। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, ম্যাডাম শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থ। দীর্ঘদিন ধরে যথাযথ চিকিৎসা না পাওয়ায় তার পুরনো রোগগুলো জটিল আকার ধারন করেছে। তবে এই অসুস্থতার মধ্যেও তার মানসিক শক্তি দেখে আমরা অবাক। এতটুকুও বিচলিত হননি, ভেঙে পড়েননি। বরং দেশের এই মহাসঙ্কটের সময়ে তিনি দেশবাসী ও দলের নেতাকর্মীদের সচেতন, সতর্ক থাকার পাশাপাশি অসহায়, গরীব, দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
ডা. জাহিদ জানান, করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে ম্যাডাম ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এই সময়ে তার সাথে অবস্থান করছেন নার্স ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য। তবে তারা প্রত্যেকেই নিরাপদ দুরত্বে থেকে কথা বলছেন, তাঁর দেখাশুনা করছেন। বেগম জিয়ার কোয়ারেন্টাইনের দিনগুলো কিভাবে কাটছে জানতে চাইলে তাঁর এই ব্যক্তিগত চিকিৎসক জানান, ভীষণ অসুস্থ অবস্থায়ও ম্যাডাম কখনো নামাজ ছেড়ে দেননি। তিনি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। এখনো ফজরের সময় ঘুম থেকে ওঠে তিনি নামাজ আদায় করছেন। এরপর কোরআন তেলাওয়াত করছেন। সকালের নাস্তা শেষে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে টেলিভিশনে বাংলাদেশসহ বিশ্ব পরিস্থিতির খবর দেখছেন। এছাড়া দিনের বেশিরভাগ সময় নামাজ আদায়, কোরআন তেলাওয়াত, বই পড়ার মাধ্যমে কাটাচ্ছেন।
বেগম জিয়ার পরিবারের একজন সদস্য জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী কোয়ারেন্টাইনে থাকার কারণে দলের নেতাকর্মীদের বাসায় প্রবেশ নিষেধ। গেইটে চেয়ারপারসনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সদস্যরা রয়েছেন। ব্যক্তিগত চিকিৎসক ছাড়া কাউকে যেনো প্রবেশ করতে না দেয়া হয় সেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। খালেদা জিয়ার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্কাইপিতে বড় ছেলে, দুই পুত্রবধূ ও নাতনীদের সাথে কথা বলছেন। এসময় সবচেয়ে আনন্দঘন সময় কাঁটছে তাঁর। নাতনীদের সাথে কথা বলার সময় থাকছেন হাসিখুশী। এছাড়া পরিবারের সবার সাথে কথা বলে, একত্রে খাবার খেয়ে ভালো সময় কাটাচ্ছেন তিনি। কোয়ারেন্টাইনে থাকায় পরিবারের সদস্যরা নির্দিষ্ট দূর থেকে তার সঙ্গে কথা বলছেন। ফলমূল ছাড়া বাইরের কোনো খাবার তিনি খাচ্ছেন না। তার খাবারও বাড়িতে রান্না হচ্ছে। মাঝে মাঝে বোন সেলিমা ইসলাম নিজের বাসা থেকে খালেদা জিয়ার পছন্দের খাবার রান্না করে নিয়ে আসেন। খালেদা জিয়া কখন কি খাবেন তার খেয়াল রাখছেন, বোন সেলিমা ইসলাম। আর আগের মতো সার্বক্ষণিক দেখাশুনা করছেন গৃহকর্মী ফাতেমা।
এদিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা এখনো শুরু হয়নি। কোয়ারেন্টাইনের সময় শেষ হলে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসার বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন। তিনি জানান, আপাতত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে। লন্ডনে অবস্থানরত ছেলের বৌ ডা. জোবাইদা রহমান তার শাশুড়ির চিকিৎসার সার্বিক দিক তত্ত্বাবধান করছেন। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।