পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
প্রতিদিনই বাতিল হচ্ছে অর্ডার
জাতির উদ্দেশে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে শিল্পকারখানা বন্ধের নির্দেশনা ছিল না। তাই শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে কারখানা খোলা রাখা যাবে। তবে কারখানায় প্রবেশের পূর্বে থার্মাল স্ক্যানার ব্যবহারের মাধ্যমে শ্রমিকদের দেহের তাপমাত্রা বাধ্যতামূলকভাবে পরীক্ষা করতে হবে। যদিও ইতোমধ্যে সরকারের সাধারণ ছুটির সময়ে কারখানা বন্ধ রাখার আহবান জানিয়েছেন তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি রুবানা হক। তবে কেউ চাইলে কারখানা খোলা রাখতে পারবেন। খোলা রাখা কারখানাগুলোকে শ্রমিকের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে পিপিই ও মাস্ক তৈরি হচ্ছে এমন কারখানাগুলো খোলা রাখতে পারবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিজেএমইএ’র সিনিয়র অতিরিক্ত সচিব মনসুর খালেদ ইনকিলাবকে জানিয়েছেন, বিজিএমইএ’র আওতাভুক্ত ৮০ শতাংশ কারখানা ইতোমধ্যে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল পিপিই ও মাস্ক প্রস্তুতকারী এবং শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে বাকী ২০ শতাংশ কারখানা খুললেও দুপুরের মধ্যেই ১৫ শতাংশ কারখানা বন্ধ করা হয়েছে। আজ রোববার হয়তো ৫ শতাংশ কারখানা খুলতে পারে। তবে তাও পিপিই ও মাস্ক প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে কোনো শ্রমিকের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ন্যূনতম উপসর্গ দেখা দিলে তাকে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি চিকিৎসার ব্যবস্থাও মালিকদের করতে হবে।
গত শুক্রবার এমন নির্দেশনাই দিয়েছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর (ডিআইএফই)। ডিআইএফইর মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায় বলেছেন, যেসব রফতানিমুখী কারখানায় ক্রয় আদেশ রয়েছে এবং করোনাপ্রতিরোধে অপরিহার্য পণ্য-পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইমেন্ট (পিপিই), মাস্ক, হ্যান্ডওয়াশ বা স্যানিটাইজার, ওষুধ ইত্যাদি উৎপাদন কার্যক্রম চলছে সেসব কারখানা বন্ধ করার বিষয়ে সরকার কোনো নির্দেশনা দেয়নি।
এমনকি স্বাস্থ্য অধিদফতর ও আইইডিসিআরের জারি করা স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নির্দেশিকা কঠোরভাবে পরিপালন সাপেক্ষে শিল্প মালিকরা প্রয়োজনবোধে কারখানা চালু রাখতে পারবেন।
প্রতিদিনই অর্ডার বাতিল হচ্ছে : প্রতিদিনই বিদেশি ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্ডার বাতিলের ই-মেইল বা চিঠি পাচ্ছেন গার্মেন্ট মালিকরা। কোন কোন ক্রেতা সরাসরি অর্ডার বাতিল করছেন, আবার কেউ প্রস্তুতকৃত মালামাল শিপমেন্ট না করার নির্দেশনা দিচ্ছেন। বিজিএমইএ’র তথ্যমতে, ২৮ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৯৭৮টি কারখানা ২ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ হারিয়েছে। এসব কারখানায় প্রায় ২০ লাখ শ্রমিক কাজ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।