পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেছেন, ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা পাকিস্তানের গোলামী ছিন্ন করেছি, নতুন করে আমেরিকা, ভারত বা অন্য কারো গোলামী করার জন্য নয়। গতকাল পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনস্থ প্রগতি সম্মেলন কক্ষে সিপিবি-বাসদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, দেশের অস্তিত্বকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। দেশের ওপর একাধারে সাম্প্রদায়িক শক্তি এবং সাম্রাজ্যবাদÑ এই দু’মুখী বিপদ। তিনি বলেন, ধর্মকে রাজনীতিতে ব্যবহারের ফল সম্পর্কে আমরা সতর্ক করেছি বহুবার। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা কখনোই তাতে কর্ণপাত করেনি। অপরপক্ষ জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে টালবাহানা করে চলেছে।
সংবাদ সম্মেলনে খালেকুজ্জামান বলেন, ঘটনার প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন ও দূরীভূত করার পরিবর্তে পুরনো দোষারোপের রাজনীতি শুরু হয়ে গেছে। ক্ষমতাসীন সরকারসমূহ সব সময় উগ্র সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসী হামলার তীব্রতাকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করেছে। হামলাকারীদের পরিচয় উদ্ঘাটন করা, গ্রেফতার ও বিচার করার চাইতে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার প্রচেষ্টা শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিতদের পক্ষ থেকে সবসময় করা হয়েছে। আইএস আছে কি নেই, এরা কি জেএমবি না অন্যকিছু- এইসব বিতর্কে রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার চেষ্টা হয়েছে। গণতন্ত্রের মূল চেতনা যে ভিন্নমত সহিষ্ণুতা, তা ধ্বংস করা হচ্ছে। গণতান্ত্রিক অধিকারহীন পরিবেশ শাসকদেরকে যেমন ফ্যাসিবাদী বানায়, জনগণকেও তেমনি নিষ্ক্রিয় করে। তার ফলশ্রুতিতে সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদের মতো মহাবিপর্যয়ের উদ্ভব ঘটে। লিখিত বক্তব্যে সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জাফর আহমদ সশস্ত্র সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদের বিপদ মোকাবেলায় পরস্পর দোষারোপের রাজনীতি পরিহার করে এবং দলীয় সংকীর্ণ স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে সরকার, বিরোধী দল, বাম-গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তি একযোগে কাজ করা প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ আন্দোলনের মাধ্যমেই এই অন্ধকারের কালো শক্তিকে কার্যকরভাবে নিশ্চিহ্ন করা সম্ভব। শাসকগোষ্ঠীর অগণতান্ত্রিক আচরণ, সশস্ত্র সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী হামলা, দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ করতে কার্যকর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ লক্ষ্যে জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলার বিকল্প নেই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শামছুজ্জামান সেলিম, আহসান হাবিব লাবলু, রাজেকুজ্জামান রতন, বদলুর রশিদ ফিরোজ, মাহবুবুল আলম, রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।