পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকার বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রয়েছে গোটা রাজধানী। যে কোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি কূটনৈতিক এলাকায় নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে বিজিবি সদস্য। রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। আদালতপাড়ায় মহিলা আগন্তুকদের লাগেজ-ব্যাগেজ তল্লাশির জন্য নিয়োজিত রয়েছে পুলিশ ও র্যাবের নারী সদস্য। এছাড়া নগরীর মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে র্যাব-পুলিশের চেকপোস্ট। পুলিশকে সহযোগিতা করতে এপিবিএন ও আনসার বাহিনীকেও মাঠে নামানো হয়েছে। অতিরিক্ত চেকপোস্টের কারণে পরিবার- পরিজন নিয়ে ঢাকায় ফেরা কর্মজীবী মানুষকে কিছুটা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছে। এরপরও নিরাপত্তার স্বার্থে এ বিড়ন্বনায় আপত্তি নেই কারো।
গুলশানের প্রবেশপথে বনানী, মহাখালী, সংসদ ভবন ও এর আশপাশ এলাকাসহ পুরো মহানগরীতে ৩ শতাধিক চোকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া মহানগরীর প্রবেশপথ গাবতলী, উত্তরা, আবদুল্লাহপুর ও যাত্রাবাড়ী এলাকাতে চেকপোস্টের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সিসি ক্যামেরায় সবকিছু মনিটরিং করা হচ্ছে। মন্ত্রীপাড়া, কূটনৈতিকপাড়াসহ স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকা রয়েছে নিñিদ্র নিরাপত্তার বলয়ের মধ্যে। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহামুদ বলেন, আমরা শুধু রাজধানী নয়, দেশব্যাপীই নিরাপত্তা জোরদার করেছি। মন্ত্রীপাড়া ও আশপাশ এলাকায় অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
গতকাল ঢাকার আদালতপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে সন্দেহজনক লোকজনের দেহ ও ব্যাগ তল্লাশি করছে পুলিশ। এখানে আগন্তুক মহিলাদের ভ্যানিটিব্যাগ ও দেহ তল্লাশি করছে পুলিশের নারী সদস্যরা। শুধু গুরুত্বপূর্ণ সড়কেই নয়, পুলিশের চেকপোস্ট চোখে পড়েছে রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলিতেও। মোটরসাইকেলে তিনজন আরোহী থাকলেই গাড়ি জব্দ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে থানায়। তবে খিলগাঁওয়ের গোড়ান এলাকার একাধিক বাসিন্দার অভিযোগ, গত কয়েক দিন পুলিশ যেখানে সেখানে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য যা খুবই ফলপ্রসূ। কিন্তু মোটরসাইকেল আরোহীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে পুলিশ। তিনজন আরোহী পেলেই পুলিশ গাড়ি নিয়ে যায় থানায়। এরপর হয় রফাদফা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গণমাধ্যম শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান জানান, পুরো রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা হয়েছে। প্রায় ১০ হাজার পুলিশ সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। রাজধানীর মন্ত্রীপাড়া, কূটনৈতিকপাড়া এবং সংসদ ভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মন্ত্রীপাড়া হিসেবে পরিচিত রাজধানীর মিন্টো রোড, বেইলি রোড ও হেয়ার রোড এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এসব এলাকা সিসি ক্যামেরায় সন্দেহভাজনদের গতিবিধি মনিটরিং করা হচ্ছে। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পুলিশ কাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।