পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720200068](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতের প্রস্তাব আরও একাধিক বিদ্যুৎ কোম্পানি কাজ দেয়ার
বিশেষ সংবাদদাতা : বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ খাত সংক্রান্ত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সভায় রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র যথাসময়ে নির্মাণ, ভারত থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়, ভারতের আরও একাধিক বিদ্যুৎ কোম্পানিকে পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণের কাজ দেয়া এবং বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানিকে রামপাল বি ব্লকে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের সুযোগ দেয়ার বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়।
গতকাল (বুধবার) অপরাহ্নে ঢাকায় বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ স্টিয়ারিং কমিটির একাদশ সভায় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম এবং ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির বিদ্যুৎ সচিব মিঃ প্রদীপ কুমার পুজারী।
সভায় ত্রিপুরা ইন্টারকানেকশনের সফল বাস্তবায়ন, ত্রিপুরা থেকে আরো ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি, বহরমপুর-ভেড়ামারা ইন্টারকানেকশনের মাধ্যমে ভারতের পাওয়ার মার্কেট থেকে ৩০ থেকে ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়েছে। স্টিয়ারিং কমিটির সভায় অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে বিদ্যমান বহরমপুর-ভেড়ামারা ইন্টারকানেশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আরও ইন্টারকানেকশন স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই, ভারতের রিলায়েন্স, সাপুরজি পালংজি ও আদানী গ্রুপের বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের প্রস্তাবনার বর্তমান অবস্থাসহ ভারতীয় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে অংশগ্রহণের বিষয় আলোচনায় আসে।
এছাড়াও বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে ভারতে বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাবনা, নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ আমদানির সম্ভাবনা এবং জিএমআর কর্তৃক নেপালে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানি, ভুটানের ১১২৫ মেগাওয়াট কুরী-১ হাইড্রো পাওয়ার প্রজেক্টে বাংলাদেশ, ভারত ও ভুটানের যৌথ বিনিয়োগ এবং এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানি, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে জ্বালানি দক্ষতার ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হয়েছে।
সভায় উভয়পক্ষ রামপালে বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানী কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থারমাল প্রকল্পের কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বিদ্যুৎ খাতে বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এর আগে আজ সকালে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট ওয়ার্কি গ্রুপের ১১তম সভা স্থানীয় একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়।
গতবছর নভেম্বরে দিল্লীতে বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা সংক্রান্ত বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট স্টিয়ারিং কমিটি ও জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের ১০ম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
এদিকে ভারতীয় বিদ্যুৎ সচিব প্রদীপ কুমার পুজারী বলেছেন, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল কাজ শুরু হবে। ইতোমধ্যে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের ভিতরেই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে। তিনি বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমেই এই প্রকল্পের কাজ করা হবে।
মঙ্গলবার ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সুপার পাওয়ার প্রজেক্ট আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরের পরদিন গতকাল বুধবার দুপুরে বাগেরহাটের রামপালের মৈত্রী সুপার পাওয়ার প্রজেক্ট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ কালে তিনি একথা বলেন।
অপরদিকে বাংলাদেশের পক্ষে বিদ্যুৎ সচিব মনোয়ার ইসলাম বলেন, সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ থেকে তিন পয়সা হারে আলাদা তহবিল করে বছরে ৩০ কোটি টাকা স্থানীয় জনগণের জীবনমান উন্নয়ন খাতে ব্যয় করা হবে।
এর আগে সামাজিক দায়বধ্যতা (সিএসআর) কর্মসূচির আওতায় মহিলাদের জন্য শেলাই ও যুবকদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশানর হর্ষ বর্ধন শ্রীংলা, বিআইএফপিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জলকান্তি ভট্টাচার্যসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।