Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বৌদ্ধমন্দিরের ‘কর্তৃত্ব’ নিয়ে ভিক্ষুকে জখম

প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কক্সবাজার অফিস : কক্সবাজার শহরের ইউমাহ্লাটারা ক্যাংয়ের প্রবীণ বৌদ্ধ ভিক্ষু উ পাঁই দিত্ত্বাকে (৭৭) কুপিয়ে-পিটিয়ে জখম করেছে তার আরেক অনুসারী (ভান্তে)। ১৩ জুলাই বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত ভিক্ষুকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলাকারী বৌদ্ধ ভান্তে মং ইঁয়া মং রাখাইন পলাতক রয়েছে। তাকে আটক করার জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। জায়গা-জমির বিরোধ ও বৌদ্ধমন্দিরে কর্তৃত্ব নিয়ে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গেছে। তবে, মাদকের টাকার জন্য এ হামলা হয় বলে অপর সূত্রের দাবি। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ পুচনু বলেন, আহত বৌদ্ধ ভিক্ষুর মাথার তিনটি স্থানে কেটে গেছে। মাথা থেকে প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য আহত ভিক্ষুকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে, তিনি আশঙ্কামুক্ত।
ওই ক্যাংয়ে অবস্থানকারী কক্সবাজার পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী অংচেন মার্মা বলেন, হামলার সময় আমি ক্যাং-এর নিচ তলায় ছিলাম। হঠাৎ অধ্যক্ষের চিৎকার শুনে সিঁড়িতে গেলে হামলাকারী ওই ভিক্ষু আমাকে হুমকি দেয়।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা জানিয়েছেন, হামলাকারী ময় অং রাখাইন ভান্তের পোশাক পরিধান করলেও সে বর্তমান ভান্তে নেই। বর্তমানে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। বৌদ্ধধর্মের আচার-অনুষ্ঠানের সাথেও তার সম্পৃক্ততা নেই।
মন্দিরসংলগ্ন বাসিন্দা মংথেলা রাখাইন জানান, প্রবীণ বৌদ্ধ ভিক্ষু উ পাঁই দিত্ত্বা’র কাছে নাস্তার অজুহাতে মাদকের জন্য টাকা দাবি করছিল মং ইঁয়া মং। তাকে মাদকের জন্য টাকা দিতে না পারায় হামলা করে।
ইউমাহ্লাটারা ক্যাংয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মংথাচিং রাখাইন বলেন, হামলাকারী মইওয়েন মাদকাসক্ত। তাকে ওই মন্দির থেকে বের করে দেয়া হয়েছিল অনেক বছর আগে। ঘটনার দিন ভান্তের কাছ থেকে টাকা চেয়েছিল সে। পরে না পেয়ে তার উপর হামলা করেছে মইওয়েন। হামলাকারী মংয়াইনের পূর্বসূরিরা উইমাহ্লাটারা ক্যাং-এর জিন্মাদার (সেবায়েত) ছিলেন। সেই সূত্রে ক্যাং-এর জমির মালিকানা দাবি করে আসছে তারা।
তিনি বলেন, বিরোধের বিষয়টি নিয়ে রাখাইন বুড্ডিস্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন আদালতে গেলে বিচারক অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। এরপর কয়েকজন অবৈধ দখলদারকে উচ্ছেদ করা গেলেও বড় একটি অংশ বেদখল থেকে যায়। এখন ক্যাংয়ের পুরো জমির দখলে নিতে পুরোহিতের উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কক্সবাজার পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার নাথ বলেন, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে দুই ভিক্ষুর মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছি। ঘটনাটির তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে। হামলাকারীকে আটকের চেষ্টা চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বৌদ্ধমন্দিরের ‘কর্তৃত্ব’ নিয়ে ভিক্ষুকে জখম
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ