দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গাজীপুর বারে বোমা হামলা হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু
প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম
স্টাফ রিপোর্টার ঃ গাজীপুর আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বোমা হামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ১০ আসামির ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের ওপর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবীর। আসামিপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার গোলাম নবী, অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম ও দেলাওয়ার হোসেন। পরে শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, আসামিদের ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। এক হাজার ১৬৬ পৃষ্ঠার পেপারবুক প্রথম দিনের শুনানি হয়েছে। বৃহস্পতিবারও শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর গাজীপুর বার সমিতির দুই নম্বর হলে শক্তিশালী দু’টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ওই হামলায় জেএমবি সদস্য আজাদ ওরফে জিয়া ওরফে নাজির ওরফে নাহিদ ঘটনাস্থলেই মারা যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন। আইনজীবী নুরুল হুদা, আনোয়ারুল আজম ও গোলাম ফারুক এবং চার বিচারপ্রার্থী। এ ঘটনায় জেএমবি নেতা শায়খ আব্দুর রহমান ও আতাউর রহমান সানী, আত্মঘাতী হামলাকারী ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক। তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৪ জুলাই পুলিশ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। গাজীপুর প্রথম আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২০১১ সালের ২৪ এপ্রিল ১০ জেএমবি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২০ জুন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত দশ জেএমবি সদস্য হলেনÑ এনায়েত উল্লাহ ওরফে ওয়ালিদ ওরফে জুয়েল, আরিফুর রহমান ওরফে আকাশ ওরফে হাসিব, মসিদুল ইসলাম মাসুদ ওরফে ভুট্টো, সাইদুর মুন্সী ওরফে শহীদুল মুন্সী ওরফে ইমন ওরফে পলাশ, আবদুল্লাহ আল হোসাইন ওরফে যায়িদ ওরফে আকাশ, নিজাম উদ্দিন রেজা ওরফে রনি ওরফে কচি, তৈয়বুর রহমান ওরফে হাসান, মো: আশরাফুল ইসলাম ওরফে আরশাদ ওরফে আব্বাস খান, মো: সফিউল্লাহ ওরফে তারেক ওরফে আবুল কালাম ও আদনান সামী ওরফে আম্মার ওরফে জাহাঙ্গীর। নি¤œ আদালতের রায়ের পর ওই বছরই আসামিদের ডেথ রেফারেন্স অনুমোদনের জন্য হাইকোর্টে আসে।
