পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ইটভাটা মালিকদের
পার্বতীপুর (দিনাজপুর) থেকে এম.এ জলিল সরকার ঃ দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলেছেন ইট ভাটার মালিকরা। এছাড়া তারা রাতারাতি কয়লার মূল্য বৃদ্ধি করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিক্রির অভিযোগ করেছেন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, গত ১১ জুলাই (সোমবার) থেকে বড়পুকুরিয়া খনিতে কয়লার দাম বাড়ানোর গুঞ্জন শুরু হয়। এ সময় খনি প্রকল্পের কতিপয় ব্যক্তি তাদের গোপনীয় তথ্য বাইরে ফাঁস করে দেয়ার কারণে গত ১২ জুলাই সকাল থেকে ইটভাটার মালিক ছাড়াও বিভিন্ন পেশার লোকজনকে গোপনে খবর দিয়ে কয়লা ক্রয় করার সুযোগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, পূর্বে কয়লা বিক্রয়ের মূল্য ছিল টনপ্রতি ৮ হাজার ৩০৫ টাকা। এরই মধ্যে হঠাৎ করে কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ কোন বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই কয়লার মূল্য বৃদ্ধি করে, যা গোপন রাখা হয়। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যক্তি জানান, বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হলেই মূল্য বৃদ্ধির কথা প্রকাশ করা হবে। তারা পূর্বের মূল্যেই ৭৫ জনের নিকট কয়লা বিক্রি করেন। তারাই একমাত্র কয়লা ক্রেতা। এর মধ্যে হোটেল ব্যবসায়ী, বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের হোমড়া চোমড়া, ইট ভাটা নাই এমন কিছু লোকজন ও বিভিন্ন বহিরাগতদের মাঝে এই কয়লা বিক্রি করা হয়।
এদিকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির মেসার্স ভাই ভাই ট্রেডার্সের মালিক মোঃ আবুল কালাম জানান, গত ১২ জুলাই (সোমবার) সরাসরি খনি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে কয়লা ক্রয়ের বিষয়ে কথা বললে তিনি সাফ জানিয়ে দেন কয়লা মজুদ নাই শেষ হয়ে গেছে।
অপরদিকে নিলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলার ইট ভাটার মালিকদের পক্ষে মোঃ মোস্তফা ফিরোজ অভিযোগ করে বলেন, বিকেল সাড়ে ৩টায় কয়লা খনির গেটে গিয়ে কয়লা ক্রয়ের জন্য ভিতরে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এছাড়া সৈয়দপুর উপজেলার বিভিন্ন ব্রিক ফিল্ডের মালিক কয়লা কিনতে গিয়ে ভিতরে ঢুকতে না পেরে নিরাশ হয়ে ফিরে আসেন।
কয়লা বিক্রির দুর্নীতির বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আমিনুজ্জামান-এর সাথে গতকাল (বুধবার) মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান, কয়লা বিক্রয়ের কোন সিন্ডিকেট করা হয়নি। নিয়মতান্ত্রিক ভাবে কয়লা দেওয়া হয়েছে। আমি বিশেষ কাজে ঢাকায় চলে যাচ্ছি, আপনি মান্নান পাটোয়ারীর সাথে কথা বলেন। মান্নান পাটোয়ারীর সাথে কথা হলে তিনি আমতা-আমতী ভাবে কিছু উত্তর দেন এবং বলেন পিডিবির জন্য ৬২ হাজার মে. টন কয়লা ইয়ার্ডে মজুদ আছে। আজ থেকে কয়লা বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে, আবারও কয়েক দিনের মধ্যে কয়লা উত্তোলন শুরু হলে কর্তৃপক্ষ বিক্রয়ের বিষয়টি বিবেচনায় নিবেন। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে গত ২ দিন ধরে বাড়ছে ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভ। অনেকে জানান, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক যেকোন সময় বদলী হয়ে যেতে পারেন, উনার প্রমোশন হয়েছে। এ কারণে কয়লা বিক্রির সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কয়লা বিক্রির ঘটনা নিয়ে খনি এলাকায় চলছে তোলপাড়। ব্যবসায়ী মহল বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।