পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গফরগাঁও উপজেলা সংবাদদাতা : গফরগাঁও উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে গত কয়েকদিন যাবত একটানা হাড় কাঁপানো শীত পড়েছে। প্রচÐ এই শীতে শিশু ও বয়স্করা কাবু হয়ে পড়েছে সবচেয়ে বেশী। শীতের তীব্রতায় কাহিল হয়ে পড়েছে গরীব শ্রেণীর মানুষ। বিগত বছরগুলোতে সরকারীভাবে না মিললেও বিভিন্ন সমাজসেবা প্রতিষ্ঠান কিছু কিছু শীত বস্ত্র বিতরণ করতো ।কিন্তুু এবার তেমনটি এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত পরিলক্ষিত হয়নি । অপরদিকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষেও তেমন কোন তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না । এ অবস্থায় অসহায় লোকেরা আগুনের তাপ দিয়ে শীত নিবারণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
এবার মাঘ মাস থেকে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আর গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার শুরুতেই এই তীব্রতা অনেক বেশী বলে বিশেষ করে বয়স্ক লোকেরা মন্তব্য করেন। দরিদ্র লোকদের সমস্যা হয় বেশী। তাদের পক্ষে শীতবস্ত্র সংগ্রহ করা আদৌ সম্বব নয়। গফরগাঁও উপজেলার ৯নং পাঁচবাগ ইউনিয়নের দিঘীরপাড় গ্রামের কৃষক মোঃ আবদুর রশিদ জানান , প্রতিবছর বিভিন্ন লোকজনের মারফত কিছু না কিছু কম্বল, চাঁদরসহ বিভিন্ন গরম কাপড় পাওয়া যেত কিন্তু এবার তাদের ভাগ্যে এসব কাপড়-চোপর জোটেনি।
এবার আমন ধানের খড় তাদের শীতের হাত থেকে কিছুটা বাঁচিয়েছে। গোটা রাত অগ্রিকুন্ডের তাপ নেয়ার জন্য জেগে থাকা সম্বব হয় না। তবে রাতের বেশীর ভাগ সময় তারা অগ্নিকুন্ডে ঘিরে থাকে কেবল শীতের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। এভাবে রাত জেগে এবং শেষ রাতের ঠান্ডায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। গত ৪/৫ দিন যাবত ঘন কুয়াশার আচ্ছাদনে প্রকৃতি ঢাকা পড়ে। সূর্য হয়ে পড়ে অদৃশ্য। প্রায়ই সারাদিনেই এই অবস্থা চলতে থাকে। কুয়াশার কারণে যানবাহন চলাচলে দেখা দিয়েছে মহাসমস্যা। গত কয়েকদিন ধরে লোকাল ,মেইল ও আন্তঃনগর ট্রেন কুয়াশার কারণে বিলম্ব হচ্ছে । ফলে যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে ।
রাত ও সকালে ১০হাত সামনের কিছু দেখা যায় না বিধায় যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে হচ্ছে কচ্ছপ গতিতে । ফলে যে কোন সময়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে । কুয়াশার কারনে সন্ধ্যার পরে ও সকালে রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ।মানুষজন শীতের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য বাড়ী-ঘরে আশ্রয় নিচ্ছে । ইদানিং পুরাতন গরম কাপড়ের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় তাও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে।
গত কয়েকদিন যাবৎ গফরগাঁও উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ছোট-বড় হাটবাজারগুলোতে লেপ বানানো পুরোদমে হিড়িক পড়েছে। তুলা ও কাপড়ের দাম আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অঞ্চলে সরকারীভাবে গরীবদেরকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা দরকার বলে ভুক্তভোগিরা মনে করেন ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।