Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগ খালেদা জিয়ার

প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:১৩ এএম, ১৪ জুলাই, ২০১৬

১৮ জেলায় জঙ্গিবিরোধী সমাবেশ করতে চায় বিএনপি বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে আজ মতবিনিময়
আফজাল বারী : জঙ্গিবাদ-উগ্রবাদসহ দেশবিরোধী দেশী-বিদেশী চক্রান্ত রুখে দিতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি মনে করেন, গুলশানের ঘটনা সার্বভৌমত্বের ওপর একটা বড় আঘাত। এই অবস্থায় বিএনপির বসে থাকলে চলবে না। এ বিবেচনা থেকে ইতোমধ্যে তিনি ঐক্যর ডাক দিয়েছেন। এখন প্লাটফর্ম তৈরির জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ করছেন। সূচনা হিসেবে দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, ওলামা-মাশায়েক, বিভিন্ন দৈনিকের সম্পাদক, টিভি চ্যানেলের প্রধান, নোয়াব, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে মত বিনিময় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
গতকাল জোট ও নীতি নির্ধারণী ফোরামের সাথে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন বিএনপি ও জোট প্রধান খালেদা জিয়া। আজ পেশাজীবীদের মধ্য দিয়ে এই প্রক্রিয়া শুরু করবেন। যাবেন সাধারণ জনতার কাছেও। এ লক্ষ্যে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের গুরুত্বপূর্ণ জেলায় সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত রয়েছে দলটির। সকল শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিকে ওই মঞ্চে উঠাতে চান তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। নেতাদের এ বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়ার জন্য মৌখিক নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, কূটনৈতিক জোন হিসাবে পরিচিত রাজধানীর গুলশান হলি আর্টিজান বেকারি ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঈদের নামাজের আগমুহূর্তে ঈদগাহের কাছে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দলের হাইকমান্ড চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। চলমান পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে বিএনপি। এই অবস্থায় কী করা যায় তা নিয়ে সবার কাছে থেকেই পরামর্শ নেবেন দলীয় প্রধান।
দলটির হাইকমান্ড মনে করে, দেশের চলমান পরিস্থিতির কারণে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এখন হুমকির মধ্যে পড়েছে। আর এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে কোন কোন দেশ ফায়দা হাসিল করতে পারে। এমন কোন ঘটনা ঘটলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। এই অবস্থায় সমস্যা সমাধানে সব রাজনৈতিক দলকে এক মঞ্চে এককাতারে দাঁড়িয়ের এসব মোকাবেলা করতে হবে।
সাম্প্রতিক ঘটনায় সরকার, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রতিবেশীসহ আরো দুই-একটি দেশের ভূমিকায় দৃষ্টি রাখছেন দলটির নীতি নির্ধারকগণ। সরকার পরিচালনায় লব্ধ জ্ঞান থেকে ঘটনার প্রকৃত তথ্য সংগ্রহ করার দায়িত্ব দিয়েছেন দলীয় বিশেষজ্ঞদের। একই সাথে সতর্কভাবে চলাফেরা করতে দলের নেতাদের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে এমন একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইনকিলাবকে জানান, দলের কয়েকজন নেতা চলমান পরিস্থিতিতে গুম, উগ্র ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ করার একটি খসড়া প্রস্তাব বিএনপি চেয়ারপার্সনকে দেয়া হয়। তাতে উল্লেখ করা হয় ঢাকাসহ অন্তত ১৮ জেলায় সমাবেশ করতে চায় নেতারা। এই নিয়ে খালেদা জিয়া তাৎক্ষণিক কয়েক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন তাৎক্ষণিক উপস্থিত নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
সূত্রমতে, প্রস্তাবনা পাবার পর খালেদা জিয়া আরো কয়েক নেতাদের সঙ্গে গত কয়েকদিন আলোচনা করেছেন। সর্বশেষ মঙ্গলবার রাতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গেও এই নিয়ে আলোচনা করেন। তারই অংশ হিসাবে গতকাল বুধবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটি সদস্য ও ২০ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আজ দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। পর্যায়ক্রমে অন্যান্যদের সঙ্গেও খালেদা জিয়া মতবিনিময় করেবেন। খালেদা জিয়া যে জাতীয় ঐক্যের কথা বলেছেন, সেই ঐক্য সৃষ্টির অংশ হিসাবে তিনি সবার সঙ্গে বৈঠক বা মতবিনিময় করছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনা কর্মকর্তা আ স ম হান্নান শাহ এসব বিষয়ে ইনকিলাবকে বলেন, দেশে যে ঘটনাগুলো ঘটছে তা শুধু বিএনপিকেই নয় পুরো দেশকে ভাবিয়ে তুলেছে। দোষারূপের রাজনীতিতে অনেক বেলা কেটে গেছে, দেশ ও দেশের মানুষের অনেক খোয়া গেছে। তাই এখন সর্বদলীয় ঐক্য গড়ে তোলার সময় এসেছে।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার জন্য ১৯৭১ সালের ঐক্য এবং গণতন্ত্র ফিরে পেতে ১৯৯০ সালের গণআন্দোলনের মতো ঐক্য গড়ে তোলতে হবে। এই লড়াই সংগ্রামে যার অভিজ্ঞতা রয়েছে সেই খালেদা জিয়ার মাধ্যমেই ঐক্য গড়ে তোলা সম্ভব। কাজটি অতীতের মতো এখনো তিনি (খালেদা জিয়া) করবেন বলে জানান হান্নান শাহ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সম্প্রতি দেশে যে ঘটনা ঘটছে তা চিন্তার বিষয়। এসবের পেছনে অন্য কোন ভয়ঙ্কর ঘটনা আছে কিনা। ভবিষ্যতে এর চেয়েও ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটতে পারে কিনা তা আমরা নিভীরভাবে পর্যবেক্ষণ ও তথ্য সংগ্রহ করছি। আমরা মনে করি, এটা দেশের সংকটময় মুহূর্ত। এই অবস্থায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। আমরা জনগণের মাঝে সেই ঐক্য ফেরাতে চাই। আমাদের নেত্রী নিঃশর্তভাবে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। সরকারে উচিত এ ডাকে সাড়া দেয়া। যদি তারা সাড়া না দেয় তাহলে গুম হত্যা উগ্র ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে রাজনৈতিক দল হিসাবে বিএনপি বসে থাকবে না। এই নিয়ে আলোচনা চলছে। এসব সন্ত্রাসী কর্মকা-ের বিরুদ্ধে কর্মসূচি দেয়া হবে।
ঢাকা মহানগর বিএনপির সূত্র জানায়, ৮ জুলাই মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুুল আউয়াল মিন্টুসহ সিনিয়র নেতারা বৈঠক করেন। এ বৈঠকে বরিশাল বাদে সব কটি মহানগর ও কয়েকটি জেলা শহর মিলিয়ে ১৮টি জায়গায় জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশ করার প্রস্তাব আসে। এর মধ্যে ১৩ থেকে ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে ঢাকায় সমাবেশ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। মহানগর নেতাদের নেয়া এই প্রস্তাব দুইদিন আগে খালেদা জিয়াকে লিখিত আকারে দেয়া হয়েছে।

জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে ২০ দলীয় জোটের পূর্ণ সমর্থন
খালেদা জিয়ার জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে ক্ষমতাসীন জোটের সাড়া না দেয়াকে ‘জাতির প্রতি দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে’ মনে করে ২০ দলীয় জোট। গতরাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে জোটের  বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ ও আওয়ামী লীগের কিছু ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ তারা দেশনেত্রীর জাতীয় ঐক্যের আহ্বানকে উপেক্ষা করে প্রকৃতপক্ষে জাতির আশা-আকাক্সক্ষাকে উপেক্ষা করেছেন এবং দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠতে না পেরে তারা কিছুটা অবশ্যই দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। জাতির এই মুহূর্তে ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন যে, ভয়াবহ সঙ্কট থেকে উত্তীর্ণ হবার জন্যে, সেই মুহূর্তে তারা জাতিকে বিভক্ত করতে চাইছে এবং জাতিকে বিভক্তের মধ্যে ফেলতে চাইছে। ২০ দলীয় নেতৃবৃন্দ এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। একই সাথে সরকারকে জোট নেত্রীর জাতীয় ঐক্যের আহ্বানের সাড়া দেয়ার কথাও বলেন মির্জা ফখরুল।
দেশনেত্রীর জাতীয় ঐক্যের আহ্বানকে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে ও সাড়া দিয়ে জাতির প্রতি তাদের দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়েছে ২০ দলীয় জোট।
মির্জা ফখরুল জানান, দলীয় ফোরামে নেতৃবৃন্দ ও বিশিষ্ট নাগরিক ও পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপি চেয়ারপার্সন পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। তবে জোটের একাধিক নেতার সঙ্গে বৈঠকের পর আলোচনা করে জানা গেছে, বৈঠকে জোট নেতারা ঢাকায় একটি উগ্রবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী জাতীয় কনভেনশন অনুষ্ঠান, জেলা ও মহানগরে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ অথবা সেমিনার ও মানববন্ধনের মাধ্যমে সারাদেশে উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলার প্রস্তাব দেয়া হয়।
গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালযে রাত সাড়ে ৮টা থেকে দেড় ঘণ্টা স্থায়ী বৈঠকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, সম্প্রতি সংঘটিত গুলশানের ক্যাফের বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনাসহ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বিএনপি চেয়ারপার্সন জোট নেতাদের কাছে কী করণীয় সে বিষয়ে তাদের মতামতও শুনেন। খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে ২০ দলীয় জোটের এই বৈঠকে জোটের শরিক শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী, জাগপার শফিউল আলম প্রধান, এনডিপির খন্দকার গোলাম মুর্তজা, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টিও মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, ইসলামিক পার্টিও আবু তাহের চৌধুরী ছিলেন।
যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতৃবৃন্দের ফাঁসির দ- কার্যকর হওয়ায় দলের প্রতিনিধিত্ব করেন কর্ম পরিষদের সদস্য আবদুল হালিম।
এছাড়া বৈঠকে ছিলেন, জোটের অন্য শরিকদের শীর্ষ নেতাদের প্রতিনিধিত্ব করে ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল করীম খান, মুসলিম লীগের মহাসচিব জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ, এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব সাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের পর মির্জা ফখরুল জোট নেতাদের নিয়ে সংবাদ ব্রিফিং-এ বৈঠকের সিদ্ধান্তসমূহ সাংবাদিকদের জানান।
তিনি বলেন, ২০ দলীয় জোট গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসীদের হামলায় ইতালীয়, জাপানি, ভারতীয় ও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকসহ ২২ জন নিহত হওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। জোট এই ঘটনা শোক প্রকাশ করছে। নিহতদের রুহের শান্তি কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।
বৈঠকে গুলশানের ঘটনার পর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ মোকাবিলায় যে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন, তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে ২০ দলীয় জোট। এ কথা জানান মির্জা ফখরুল।
২০ দলীয় জোটের বৈঠকের পর পরই খালেদা জিয়া স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে মহাসচিবসহ খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, আ স ম হান্নান শাহ, জমির উদ্দিন সরকার, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, আবদুল্লাহ আল নোমান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগ খালেদা জিয়ার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ