পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এ এক অন্যরকম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ঈদের ছুটিতেও যেখানে যে ক্যাম্পাস সরব থাকে এখন তা পুরোপুরি নিরব, একেবারে থমথমে। করোনাভাইরাসের কারণে আতঙ্ক বিরাজ করছে সর্বত্র। সে ধাক্কা লেগেছে ক্যাম্পাসেও। হলের ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে চলে গেছেন। মধুর কেন্টিন, টিএসটিতেও দেখা যাচ্ছে না কাউকে, হচ্ছে না কোন আড্ডা। যেখানে রাতদিন ছাত্রছাত্রীদের আড্ডায় মুখর থাকতো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি থাকে বহিরাগত মানুষের আনাগোনা। এখন করোনা পরিস্থিতিতে সে দৃশ্য পাল্টে গেছে। করোনা প্রতিরোধে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকেই আস্তে আস্তে ক্যাম্পাস ছাড়তে থাকেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, হাকিম চত্বর, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি, মধুর ক্যান্টিন, স্মৃতি চিরন্তন চত্বর, বিভিন্ন হল, কোথাও কেউ নেই। অন্য সময় এসব স্থানে শিক্ষার্থীরা জমাতেন প্রাণবন্ত আড্ডা।
ঢাবির টিএসসি এলাকাঅন্য সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি হলেও হলগুলোতে থাকতে দেখা যেতো শিক্ষার্থীদের। চাকরির প্রস্তুতি নিতে ঈদের সময়ও অনেকে হল ছেড়ে যেতেন না। এসব উৎসবে যারা হলে অবস্থান করতেন তাদের জন্য ভালো খাবারের ব্যবস্থা করতেন হল প্রশাসন। কিন্তু এবার করোনা আতঙ্কে ইতোমধ্যে অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাড়ি চলে গেছেন।
গতকাল জরুরি সিন্ডিকেট সভায় আবাসিক হলগুলো শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের গতকাল সন্ধ্যা ৬টার আগেই হল ছাড়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তবে তার আগেই সব হল ফাঁকা। শিক্ষার্থীরা যে যার মতো চলে গেছে গ্রামের বাড়িতে। হলগুলোতে এখনও যেসব শিক্ষার্থী রয়েছেন তারাও দু-একদিনের মধ্যেই হল ছাড়বেন বলে জানা গেছে।
শিক্ষার্থী শূণ্য ক্যাম্পাসে রিকশা চালকরাও বেকার বসে থাকছেন দিনের বেশিরভাগ সময়। অনেক রিকশা চালক বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় না থেকে অন্য এলাকায় রিকশা চালানোর জন্য চলে গেছেন।
শাহবাগ মোড়ে বসে ছিলেন কয়েকজন রিকশা চালক। টিএসসির দিকে যেতে রিকশায় উঠে কেমন ভাড়া পাচ্ছেন জিঞ্জেস করতে রিকশাচালক রহমত আলী জানান, ক্যাম্পাস পুরো ফাঁকা। ছাত্রছাত্রী কেউই আসে না, যা ছিল তারাও চলে গেছে। সারাদিনে ভাড়া খুবই কম। ঈদের সময়ও এতো ফাঁকা দেখি নাই ক্যাম্পাস। অনেকেই অন্য এলাকায় রিকশা চালাতে চলে গেছেন বলে জানান রহমত আলী। ইসলামিক স্টাডিস অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী নূর হোসেন বলেন, হলগুলো প্রায় এখন ফাঁকা। আমি রুমে একা থাকায় নিরাপদে রয়েছি। কিন্তু এই মুহূর্তে যদি হল বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে আমাকে বাড়ি ফিরে যেতে হবে। সবাই গ্রামে যাচ্ছে, এমনাবস্থায় গ্রামে করোনা আক্রান্তের সম্ভবনা বেশি। হল বন্ধ করে দেওয়া উচিত হচ্ছে না। এদিকে এখন আর নির্দিষ্ট এলাকায় রিকশা চালানোর কোন চিন্তা করছেন না রিকশাচালকরা। ঢাকা যে কোন এলাকায় ক্ষ্যাপ নিয়ে চলে যাচ্ছেন। কারণ একদিকে ক্যাম্পাস ফাঁকা, ভাড়া কম; আবার পুরো ঢাকা শহরই ফাকা। মেইন রোডে রিকশা চালাতে ট্রাফিক পুলিশের কড়াকড়ি নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।