পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার: বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে । এটা রেড এলার্ট নয়, নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে রাজধানীর সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, বাংলাদেশের পণ্যবাহী বিমানের সরাসরি প্রবেশে জার্মানি ও যুক্তরাজ্য যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তা তুলে নেয়ার বিষয়ে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা চলছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, কার্গো পরিবহনের ক্ষেত্রে ইংল্যান্ড (যুক্তরাজ্য) ও জার্মানির সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক। সেটি তুলে নিতে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এর আগে আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ আমাদের বিমানবন্দরকে অনিরাপদ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার পর
লন্ডনের ফ্লাইট বন্ধের কথাও বলেছিল। লন্ডনের ফ্লাইট যাতে সঠিকভাবে যায় তা নিশ্চিত করা হয়েছে। গত এপ্রিল মাসে এর সম্পূর্ণ দায়িত্ব বাংলাদেশীদের হাতে এসেছে। অস্ট্রেলিয়া কার্গো চলাচল বন্ধ করেছিল। এখন চালু করেছে। তবে থার্ড কান্ট্রি হিসেবে। হঠাৎ করে জার্মানি সিভিল এভিয়েশন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা দিয়ে কার্গো চলাচল বন্ধ করে দেয়। অথচ পরে রিপোর্ট আসে আমাদের নিরাপত্তা যথেষ্ট রয়েছে। তিনি বলেন, সরকার এভিয়েশন সিকিউরিটির বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি মেনে চলবে ।
তিনি আরো বলেন, আন্তর্জাতিক মানদ-ে নিরাপত্তার ঘাটতির কারণ দেখিয়ে জুনের শেষ সপ্তাহে জার্মানি বাংলাদেশ থেকে আকাশপথে পণ্য পরিবহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এর আগে একইভাবে নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিমানবন্দরের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে অন্যান্য দেশ যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছে সেগুলো রাজনৈতিক। এ ব্যাপারে ৭টি দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা হবে। আসলে যাদের দেশে গোলাগুলি হচ্ছে তারাই আমাদের দেশের ঘটনাগুলোকে বড় করার চেষ্টা করছে। এর থেকে আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব-ডিজিএফআইসহ অন্যান্য সংস্থাই ভালো।
রেড লাইন সিকিউরিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সিকিউরিটির জন্য রেড লাইনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। রেড লাইন গ্রাউন্ড সিকিউরিটির ৬৮ জন, সুপারভাইজার হিসেবে ৫ জন, কার্গো অপারেটর ক্লিয়ার ৪৯ জন, সিনিয়র কার্গো অপারেটর ৮ জন, ইটিবি অপারেটর ১৫ জন, এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ম্যানেজার ১৯ জন, এবং টিওটি ৬ জন, হোল ব্যাগেজ ক্লিনিংয়ে ৬ জন, কার্গো অপারেটিভ বিমানের কর্মী ২৫ জনসহ মোট ১৭৬ জনকে ট্রেনিং প্রদান করেছে।
শাহজালাল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরদারে মার্চের শেষ সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের পরামর্শ মেনে তাদের প্রতিষ্ঠান ‘রেডলাইন এভিয়েশন সিকিউরিটিকে নিরাপত্তার দায়িত্ব দেয়া হয়। এর মধ্যে মে মাসে শাহজালাল বিমানবন্দর পায় ‘আরএ-৩’ (ইইউ এভিয়েশন সিকিউরিটি ভ্যালিডেটেড রেগুলেটড এজেন্ট) মর্যাদা, যার ফলে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশ ঘুরে ফের যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ায় পণ্যবাহী বিমান চলাচেলের সুযোগের কথা এর আগে মন্ত্রী জানিয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় কার্গো যেতে তৃতীয় দেশে রি-স্ক্রিনিং করাতে হবে, যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে তার প্রয়োজন হবে না বলে জানান তিনি।
তিনটি দেশে সরাসরি কার্গো পরিবহন ফের সচল করতে কূটনৈতিক তৎপরতার কথা তুলে ধরে বিমানমন্ত্রী বলেন, “আজকে সাতটি দেশের এম্বাসেডরদের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত একটি কমিটি আলোচনায় বসবে। সেখানে যাবতীয় শর্ত পূরণের পরও কেন সরাসরি কার্গো পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হবে। তাদের জানাব, তোমরা আমাদের আরএ-৩ দিয়েছ। জার্মানির বেসামরিক বিমান সংস্থা লুফথানসা এয়ারলাইনসের কর্মকর্তারাও এসে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছে। তারপরও তোমরা কেন এটা বন্ধ করে রেখেছ? এ বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হবে বলে মন্ত্রী জানান।
এক্ষেত্রে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার ঘটনাগুলোকে তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতার উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে মেনন বলেন, “হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি দেশের সমস্ত ডমেস্টিক এয়ারপোর্টের নিরাপত্তাও জোরদার করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করেছি। এখানে আমরা রেড এলার্ট বলি না। তার একটা অন্য অর্থ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।