পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খুলনা ব্যুরো : মহানগরীর ৭৩৭টি জামে মসজিদে জুমার খুৎবা-বয়ান মনিটরিং করতে ৮ থানাকে নির্দেশনা দিয়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ। খুৎবা ও বয়ানে জঙ্গি প্রতিরোধ বা উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য ইমামরা উপস্থাপনা করছেন কিনা তা মনিটরিং করার জন্য ২০০ গোয়েন্দা পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে থানার অফিসার ইনচার্জরা (ওসি) এ সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে প্রতিবেদন পাঠানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জুমার নামাজে ইমামরা জঙ্গিবাদ উত্থানে উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখছে না তা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য বক্তব্য রাখছেনÑসে বিষয়টি মনিটরিং করার জন্য কেএমপি’র ৮ থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গোয়েন্দা পুলিশ সংশ্লিষ্ট মসজিদগুলোতে নামাজ আদায় করবে। থানা কর্তৃপক্ষকে দেয়া ৫ দফা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দেয়া প্রতিবেদনে মসজিদের নাম, ইমামের নাম, মোবাইল নম্বর, রাজনৈতিক পরিচয়, জঙ্গিবাদ বিরোধী বক্তব্য রেখেছে কিনা, জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য রাখেননি, এক মাসে জঙ্গিবাদের নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে কিনা এবং গেল এক মাসে জঙ্গিবাদবিরোধী বক্তব্য প্রদান করা হয়নি এমন মসজিদের নাম ঠিকানা ও ইমামের নাম উল্লেখ করতে হবে।
কেএমপি’র মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু জানান, খুৎবা মনিটরিং করার জন্য সংশ্লিষ্ট থানা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পুলিশের বিশেষ শাখার সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ মসজিদগুলোতে নামাজ আদায় করবেন। জঙ্গি উত্থানে উস্কানিমুলক বক্তব্য না রাখা এবং তা প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য ইমামদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান, ১৮ জন অফিসার ও ১৫ জন গোয়েন্দা পুলিশ শুক্রবার খুৎবা মনিটরিং করবে। জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে খুৎবায় বয়ান দেয়ার জন্য মসজিদ কমিটির সদস্যদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
খুলনা জেলা ইমাম পরিষদের যুগ্ম-সম্পাদক মাওলানা নাসির উদ্দিন কাসেমী জানান, সরকার খুৎবার কোন বিষয়টি মনিটরিং করবে তা স্পষ্ট নয়। দুনিয়া ও আখেরাতের বিষয়টি খুৎবায় উপস্থাপন করা হয়।
খুৎবার বয়ান মানুষের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বায়তুল মেরাজ জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা এএফএম নাজমুস সউদ বলেন, খুৎবায় ইসলামের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেয়া হয়। সমাজবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান হয়।
মক্কী মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুর রশিদ আহমদ বলেন, কুরআন হাদিসের আলোকে মানুষের চলার জন্য আলেমদের দেয়া পরামর্শ ওপর কোনো বাধা সৃষ্টি করা ঠিক হবে না। মনিটরিং করা শরীয়তের পরিপন্থি নয়।
শিপইয়ার্ড জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা সেলিম রেজা বলেন, খুৎবা ও বয়ানে আল্লাহর প্রশাংসা, রসুলের ওপর দরুদ, সামাজিক সমস্যা সমাধানমূলক পরামর্শ দেয়া হয় মাত্র।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।