পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কূটনৈতিক সংবাদদাতা : বিশ্বে মানবিক সহায়তায় সর্ববৃহৎ অর্থ বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। তবে এ বৃহৎ অর্থ বরাদ্দের তালিকায় স্থান নেই বাংলাদেশের। যেখানে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে। জানা গেছে, মানবিক সহায়তায় এবারই রেকর্ড পরিমাণ অর্থ বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছে ইইউ। প্রাথমিকভাবে এর পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১১০ কোটি ইউরো।
ইউরোপীয় কমিশনের মানবিক সহায়তা ও সঙ্কট ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কমিশনার ক্রিসটোস স্টাইলিয়ানাইডসের পক্ষে মেম্বার অব কেবিনেট ম্যাথিউ ব্রায়েন্স বলেন, বাংলাদেশের জন্যও অর্থ সহায়তা বরাদ্দ দেয়া হবে। এর ঘোষণা খুব শিগগিরই আসছে। ইইউ’র মানবিক সহায়তা পক্ষপাতিত্বহীন ও স্বাধীন। এ বরাদ্দ সম্পূর্ণ প্রয়োজনের উপর দেয়া হয়ে থাকে।
তিনি আরো বলেন, অর্থ সহায়তা বরাদ্দের ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি ও তার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেয়া হয়ে থাকে।
প্রসঙ্গত, সশস্ত্র যুদ্ধের কারণে বাস্তুহারা হচ্ছে মানুষ আর এর কারণে বিশ্বজুড়ে শরনার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়াও প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণেও মানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।
২০১০ সালে সারা বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় প্রথম ছিল বাংলাদেশ। তবে এখন বাংলাদেশের অবস্থান নেমে এসেছে ৬ নম্বরে। অর্থাৎ জলবাযু পরিবর্তনজনিত কারণে আর্থিক ক্ষতি কমছে। এছাড়া অন্য দেশের ক্ষতির পরিমাণ যে হারে বাড়ছে, সে তুলনায় বাংলাদেশের এ ক্ষতি হয়নি। তবে অর্থের ক্ষতি কমলেও ঝুঁকি এখনও থেকেই গেছে।
গত দুই দশকে বাংলাদেশের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৩ হাজার ১২৮ মিলিয়ন ডলার, যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ১.২০%। এছাড়াও সম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশে প্রায় ২২৮টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে, ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত নেপাল বা শীর্ষ ঝুঁকির তালিকায় থাকা বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো, ইইউ’র মানবিক সহায়তার বিশাল এ অংকে জায়গা না করতে পারলেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশকিছু দেশ এতে স্থান করে নিয়েছে। কলম্বিয়া, মিয়ানমার ও আফগানিস্তানের বাস্তুহারা জনসাধারণ ২০১৬ সালে ইইউ থেকে মানবিক সহায়তা পাবে। এর বাইরে ভিয়েতনাম, লাওসসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্য দেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় অর্থ বরাদ্দ পাবে। এছাড়া সিরিয়া, লেবানন, জর্ডান, তুরস্ক, ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের শরনার্থীদের মানবিক সহায়তায় বেশ বড় বরাদ্দ রাখছে ইইউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।