পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘কনস্টেবল পদে চাকরিতে যোগদান করেন আমার ভাই। ২০১৪ সালে যোগদানের পর থেকেই গুরুত্বসহকারে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের কারণে পদোন্নতিও পান তিনি। এরপর থেকে আরো বেশি কাজপাগল হয়ে উঠেন। আর কাজ করতে গিয়েই ভাইকে হারিয়েছি আমরা।’ গতকাল দুপুরে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন বাসচাপায় নিহত এএসআই জাহাঙ্গীর আলমের ছোট ভাই রুপম।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, গত বুধবার সকাল থেকে দায়িত্ব পালন করছিলেন এএসআই জাহাঙ্গীর। রাত পর্যন্ত তিনি বাসায় যাননি। পরে রাতে খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসি আমরা। কিন্তু জীবিত নয়, মৃত ভাইকেই দেখতে হয়েছে আমাদের।
তিনি জানান, তাদের গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার সাঁথিয়া থানার পার করমজা গ্রামে। চাকরির সুবাধে তার ভাই কাফরুল থানার সামনে একটি বাসা ভাড়া করে স্ত্রী ও এক ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। ছেলে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল বলে জানান তিনি।
পুলিশ জানায়, গত বুধবার রাত সোয়া আটটায় দিকে রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় ছিনতাইকারী ধরতে গিয়ে বাসচাপায় নিহত হন কাফরুল থানার এএসআই মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩৫)। গতকাল দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। পরে ঢাকা প্রথম জানাজা শেষে তার গ্রামের বাড়িতে লাশ পাঠানো হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
কাফরুল থানার ওসি মো. সেলিমুজ্জামান জানান, বুধবার রাতে এএসআই জাহাঙ্গীর কাফরুল থানার তালতলা ৯নং গেট থেকে ১৩নং গেট পর্যন্ত ছিনতাই প্রতিরোধ ডিউটিতে নিয়োজিত ছিল। ডিউটিকালে রাত সোয়া ৮টায় পুরাতন বিমান বন্দর ৯নং গেটের উত্তর পাশে রাস্তায় ছিনতাইয়ের ঘটনা দেখে এবং ভিকটিমের চিল্লাপাল্লা শুনে ছিনতাইকারীদেরকে ধরতে ধাওয়া করেন তিনি। পথিমধ্যে দক্ষিণ দিক থেকে আসা আলিফ পরিবহনের বেপরোয়া একটি বাস এএসআই জাহাঙ্গীরকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এ সময় তিনি রাস্তার ওপর ছিটকে পড়েন। পরে তার মুখের বাম পাশের গালে ও বাম কানে গুরুতর জখম হয়ে রক্ত পড়তে থাকে। এমতাবস্থায় তার সঙ্গীয় কনস্টেবল মো. সিদ্দিকুর রহমান চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টা ৫০ মিনিটের সময় মারা যান তিনি।
ওসি আরো জানান, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদি হয়ে সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা করেন। পরে বাসটি জব্দ করা হলেও এখনো আসামি গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থলে থাকা কনস্টেবল মো. সিদ্দিকুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, ভিকটিমের চিৎকার শুনে স্যার (জাহাঙ্গীর) ও আমি ছিনতাইকারীকে ধরতে দৌড় দেই। এ সময় একটি বাস এসে স্যারকে ধাক্কা দেয়। এ সময় বাস রেখে ঘাতক চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় স্যারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।