পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকার বিভিন্ন আবাসিক ভবনে গড়ে তোলা অননুমোদিত হোটেল-রেস্তোরাঁ ও অন্যান্য বাণিজিক প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদে অভিযান শুরু করবে রাজউক। এজন্য একটি তালিকা প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে বলে রাজউকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
গত ১ জুলাই গুলশান-২-এর হলি আর্টিজান বেকারিতে নজিরবিহীন জঙ্গি হামলার পর ঢাকার অভিজাত এই এলাকার অননুমোদিত স্কুল, কলেজ ও হোটেল- রেস্তোরাঁসহ সব প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। রাজউকের অথোরাইজড অফিসার মোহাম্মদ আদিলউজ্জামান একটি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ঈদের পরই গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় অবস্থিত অননুমোদিত প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। রাজউকের সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আবদুর রহমান বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রায় চূড়ান্ত। আগামী রোববার রাজউক তালিকাটি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে জমা দেবে। ওই বৈঠকেই অভিযান শুরুর দিনক্ষণ ঠিক করা হতে পারে বলে মনে করছেন তিনি। তিনি বলেন, প্রথমে হোটেল-রেস্তোরাঁ দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে বলে। গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলায় ১৭ বিদেশিসহ অন্তত ২২ নাগরিক নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে ৩০ জন। এ ঘটনা বিশ্বব্যাপী আলোচনায় এসেছে। এ হামলার পর ঈদের ছুটি শেষে গত রোববারই প্রথম সরকারি অফিসে কাজ শুরু হয়। ওই দিন সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে গুলশানের ও এর আশপাশের এলাকায় অননুমোদিত সব প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকের পর শিল্পমন্ত্রী আমির হোসনে আমু সাংবাদিকদের বলেন, গুলশানের আবাসিক এলাকায় যত্রতত্র গড়ে ওঠা রেস্তোরাঁ, হাসপাতাল, বিভিন্ন রকম স্কুল-কলেজলোকে তদারকির আওতায় আনা হবে। বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্তভাবে এ ধরনের স্থাপনা যাতে গড়ে উঠতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অননুমোদিত যেসব প্রতিষ্ঠান আছে, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর আগে গত ৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরের এলাকায় আবাসিক প্লট ও ভবন থেকে সব ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরাতে ছয় মাস সময় বেঁধে দেওয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে বাণিজ্যিক স্থাপনাগুলো না সরালে সেগুলো উচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত দিয়েছিল মন্ত্রিসভা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।