Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হোম কোয়ারেন্টাইন বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ মার্চ, ২০২০, ১২:০২ এএম

হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের বাড়িতে সতর্কতামূলক সাইনবোর্ড ঝোলানোর পদক্ষেপ নিতে আইনি নোটিস দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার সুপ্রিমকোর্ট বারের অ্যাডভোকেট তানজিম আল ইসলাম এ নোটিস দেন। নোটিসেস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব শহিদুজ্জামান এবং রোগতত্ত¡, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাকে এ নোটিস দেয়া হয়। নোটিসে বলা হয়, বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে পড়া করোনার প্রভাব এখন বাংলাদেশেও। করোনায় আক্রান্ত হওয়া ১০ জনের বেশিরভাগ বিদেশফেরত এবং বাকিরা তাদের দ্বারা সংক্রমিত। পরিস্থিতি বিবেচনায় এটা প্রতীয়মান যে, আমাদের দেশে বিদেশফেরত প্রবাসীরাই মূলত করোনায় আক্রান্ত। তাদের মাধ্যমে বাকিরা আক্রান্ত হচ্ছে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইন করার কথা বলেছে। হোম কোয়ারেন্টাইন তার জন্য, যিনি এখনও পজিটিভ হননি। আইইডিসিআর’র তথ্য অনুযায়ী, ৯-১৭ মার্চ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ৬০টির বেশি দেশ থেকে ১ লাখ ৪ হাজার জন দেশে ফেরত আসেন।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী,বর্তমানে ৫৯ জেলায় ২ হাজার ৮৯৫ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এই মুহূর্তে সারাদেশে আইসোলেশনে আছেন ১৬ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৪৩ জন। নোটিসে আরও বলা হয়েছে, পত্র-পত্রিকা মারফত জানা যাচ্ছে যে, আমাদের দেশে হোম কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম যথাযথভাবে মানা হচ্ছে না। এখানে রোগী যেমন হোম কোয়ারেন্টাইনের কোনও নিয়ম তোয়াক্কা করছে না, তেমনি সরকারের পক্ষ থেকে কাগজে-কলমে হোম কোয়ারেন্টাইনের কথা বললেও বাস্তবে এর কোনও সঠিক তদারকি দেখা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে হোম কোয়ারেন্টাইনে বিষয়টি যদি সঠিকভাবে তদারকি না করা হয় তাহলে করোনা ভাইরাসটি সারাদেশে ছড়িয়ে যাওয়ার গভীর আশঙ্কা রয়েছে। যার ফলাফল হবে আমাদের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশের জন্য ভয়াবহ। এক্ষেত্রে,হোম কোয়ারেন্টাইনেরসঠিক তদারকির পাশাপাশি সরকারকে উপযুক্ত হারে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করতে হবে। যেহেতু করোনা ভাইরাস সংক্রামক রোগ, সেক্ষেত্রে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের বাড়ির সামনে সতর্কবার্তা (সাইনবোর্ড) দিয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। সতর্কবার্তার মধ্যে এটি উল্লেখ করা যেতে পারে যে, হোম কোয়ারেন্টাইন মানেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন। যাতে তিনি/তারা সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন না হয়। পাশাপাশি করোনা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম চালু রাখতে হবে।

লিগ্যাল নোটিস ইস্যুকারী অ্যাডভোকেট তানজিম আল ইসলাম বলেন, নোটিস গ্রহীতাদের এই নোটিস প্রাপ্তির তিন কার্যদিবসের মধ্যে হোম কোয়ারেন্টাইনের সঠিক তদারকি, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা, হোম কোয়ারেন্টাইনে যারা আছেন সেই বাড়ির মূল ফটকে সতর্কবার্তা এবং সাইনবোর্ড ঝোলানোসহ সেই বাড়ি বা ঘরকে হোম কেয়ারেন্টাইন হিসেবে ঘোষণা করে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন-মর্মে অনুরোধ জানানো হয়। অন্যথায়, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হবে-মর্মে সতর্ক করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কোয়ারেন্টাইন

৬ নভেম্বর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ