ফাল্গুন বিদায়। চৈত্র মাসের পয়লা দিবস আজ রোববার। খরতপ্ত চৈত্রের আলামত শুরু হয়েছে গতকাল শনিবার থেকেই। দেশে সার্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাঞ্চলে বিক্ষিপ্ত দমকা হাওয়া ও বজ্রসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হয়। আজও পূর্বাভাস বিভিন্ন স্থানে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টি দমকা বাতাসের। তবে কালবৈশাখী ঝড়ের সতর্কতা এ মুহূর্তে নেই।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সীতাকুন্ডে ৩৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ৯ মিলিমিটার বৃষ্টির পর রংপুরে ১৬ ডিগ্রিতে নেমে আসে। সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় দিনাজপুরে ১৩ মি.মি.। এ সময় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কয়েকটি স্থানে অল্পস্বল্প বৃষ্টি ঝরে। ঢাকার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩২.২ এবং সর্বনিম্ন ২৪.৫ ডিগ্রি সে.। চট্টগ্রামে পারদ উঠে গেছে সর্বোচ্চ ৩৫.৭ ডিগ্রিতে।

আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং কুমিল্লা অঞ্চলসহ খুলনা, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের দুয়েক স্থানে অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকার সম্ভাবনা। তবে ৪৮ ঘণ্টায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির আবহ কমে গিয়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রা চলতি চৈত্রের প্রথম সপ্তাহ থেকে ক্রমেই বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকায় বিরাজ করছে।