পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ্য দিবালোকে রাজধানীর অভিজাত এলাকা বনানীর একটি বাসায় মিথ্যা পরিচয়ে প্রবেশ করে প্রায় ৮ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে নোয়া গাড়িতে করে পালিয়েছে প্রতারক নারী। ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনার রাজধানীর বনানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
ভুক্তভোগী পরিবারের গৃহকর্তী রাজিয়া সুলতানা জানান, এ ঘটনায় প্রতারকদের হামলায় তার জীবনহানিও ঘটতে পারতো। আল্লাহ সহায় যে, সে ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে গেছেন।
তিনি বলেন, গত রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বনানীর (ই-ব্লক, ১৭/৯ নং সড়ক, ৮২ নং বাড়ি) নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। বাড়ির নিচতলার ভাড়াটে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের অফিসও ছুটি হয়ে গেছে। উপর তলায় আমাদের বাসার কলাপসিবল গেট বন্ধ। এ সময় আনুমানিক ৩০ বছর বয়সী কালো মতো দেখতে খুবই স্মার্ট এক তরুণী এসে বেল চাপে। তার পরিচয় জানতে চাইলে সে আমার অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী বড় মেয়ে ও জামাতার এক বন্ধুর বোন বলে পরিচয় দেয়। সে তার মার্কিন প্রবাসী অপর ভাইয়ের বিয়ের দাওয়াত দিতে এসেছে বলে জানায়।
রাজিয়া সুলতানা এ সময় তরুণীকে তার মেয়ে কিছু জানায়নি বললে তার কথার মোহনীয়তায় পড়ে যান। গেট খুলে দেন। পরে সে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে থাকে। আবার বলে তার হাজবেন্ড নিচে আছে। দোকান থেকে নাস্তা নিয়ে আসছে বলে কলাপসিবল না আটকানোর জন্য বলেন।
এক পর্যায়ে গৃহকর্তী তার স্বামী এবং অ্যাপোলো হাসপাতালে কর্মরত তার অপর মেয়েকে ফোন করলে তারা বাসার দিকে আসছে বলে জানান। সেই সাথে তিনি দাওয়াতের বিষয়টিও জানান। এর মধ্যে তিনি আগন্তুক তরুণীর সাথেও কথা বলতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি ফ্রিজ থেকে তরুণীর জন্য কিছু খাবার বের করেন ও কাজের লোককে চা তৈরির জন্য বলেন। এর মধ্যে তরুণী তার সাথে নানা কথার ছলে ঘনিষ্ঠ হবার চেষ্টা করেন এবং জানান সামনের সড়কের একটি নির্মাণাধীন অ্যাপার্টমেন্টের বুকিং মানি দিবেন। তার সাথে ২৫ হাজার ডলার রয়েছে। তরুণীটি এ ডলারগুলো এ বাসায় রেখে যেতে চান। এজন্য একটি কাগজের খাম দিতে বলেন। তা এনে দেবার পর এটি ভরার জন্য আরো একটি খাম আনতে বলেন। পরে তাও এনে দেন। তারপর তরুণীটি ঐ খামটি দিয়ে বলে, খালাম্মা এটা রেখে দেন। কাল পরশু এসে আমি অ্যাপার্টমেন্ট কোম্পানির টাকাটা দিয়ে যাবো। এর মধ্যেই বেডরুমে গিয়ে আবার ফিরে এসে দেখেন আগন্তুক তরুণীটি নেই। কাজের লোককে জিজ্ঞেস করলে সে জানায়, মেয়েটি দ্রুত সিঁড়ি দিয়ে নেমে গেটের বাইরে অপেক্ষমান একটি সিলভার রঙের নোয়া গাড়িতে চলে গেছে।
ইতিমধ্যে পরিবারের অন্য সদস্যরা বাসায় এসে পড়েন। তিনি তাদেরকে ঘটনা খুলে বলেন এবং তার কাছে রেখে যাওয়া প্যাকেটের কথা জানান। তারা প্যাকেট খুলে তার মধ্যে একটি পুরনো পত্রিকা ভাজ করে ডুকিয়ে রাখা দেখতে পান। সন্ধ্যার দিকে তিনি একটি পারিবারিক দাওয়াতে যাবার জন্য আগন্তুক মেয়েটি যে রুমে বসেছিল সেখানে থাকা আলমারির ড্রয়ার খুলে দেখেন সেখানে থাকা তার বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার (যার মূল্যমান প্রায় ৮ লাখ টাকা) এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা নেই। এরপর তিনি পরিবারের অন্যান্যদের বিষয়টি জানালে তারা প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন। এরপর থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।