পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রখ্যাত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সাবেক স্বাস্থ্য মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এম এ ফয়েজ গতকাল শুক্রবার দৈনিক ইনকিলাবের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাতকারে বলেছেন, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে ধর্মীয় বিধিবিধান, অনুশাসন মেনে চললে মানবদেহে কমবে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি ও আশঙ্কা। পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি সবসময়েই সবারই জন্য সমভাবেই প্রযোজ্য। ১৪শ’ বছর পূর্বে মহানবী (সা.) যে কথাটি গুরুত্ব সহকারে বলে গেছেন, তা আজকের প্রেক্ষাপটে আমাদের উচিৎ হবে যুগোপযোগী ব্যাখ্যা অর্থাৎ ভাবার্থ বুঝে-শুনেই বাস্তব জীবনে অনুসরণ ও প্রয়োগ করে চলা।
যেমন- জরুরি অবস্থার প্রয়োজনে পবিত্র মক্কা ও মদীনা শরীফে ওমরাহ আপাতত বন্ধ রাখতে হয়েছে। এসব বিষয় এখন আমাদের যুগের তাগিদে দক্ষতা সহকারে ধর্মীয় বিধিবিধান দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই এগিয়ে যেতে হবে। ইরানসহ বিশ্বের অনেক দেশের মসজিদে মুসল্লি যেতে বারণ বা নিরুৎসাহিত করে বরং ইমামগণ বলেই দিয়েছেন, ডিজিটালি খুৎবা অনুসরণ করা যেতে পারে।
অধ্যাপক ডা. এম এ ফয়েজ গতকাল চট্টগ্রামে অবস্থানকালে ইনকিলাব প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, করোনাভাইরাস (কেভিডি-১৯) বর্তমানে বশ্বেিক মহামারীর সমস্যা। এ সমস্যাকে আমার, আমির মধ্যে সীমিত রাখলে প্রতিরোধ হবে না। এ অবস্থায় পরিচ্ছন্নতা বলতে চুম্বক পয়েন্ট হলো, হাঁচি-কাশি দাও- কিন্তু একে তখুনি আটকাও। টিস্যু যথাস্থানে নির্দিষ্ট বিনে বা বক্সের ভেতরে ফেল। যাতে ছোঁয়াচে রোগটি ছড়াতে না পারে। দ্রæত সাবান-পানি দিয়ে হাত ধুতে হবে। ময়লা নেই কেন ধোব- একথা নয়। তাছাড়া ঘর বা অফিসের দরজা, জানালা, সিটকিনি, হুক, পর্দা, কাচ, আসবাবপত্র, ঘরের মেঝে, রাস্তাঘাট, লন-বাগান এবং আধুনিক প্রযুক্তির যুগে ব্যবহৃত কম্পিউটার, পিসি, মোবাইল ফোনসহ গেজেট সামগ্রীগুলোও জীবাণুমুক্ত থাকাটা নিশ্চিত করা যার যার দায়িত্ব।
তিনি বলেন, কোথাও কারও একজনের অবহেলায় আরেকজনের ভাইরাস সংক্রমণ হতে পারে। এর জন্য সবার আগে আমাদের প্রতিবেশীদেরও সচেতন করে তুলতে হবে। চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী ও বিদেশীরা আসছেন। তারা যাতে দেশে প্রবেশ করেই ছড়িয়ে না পড়তে পারেন এর জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি সচেতন মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে। তারা যাতে স্বেচ্ছায় ও নির্দিষ্ট করে দেয়া সংঘনিরোধ (কোয়ারিন্টিন) বাড়িতে যেতে সহায়তা করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।