পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : পুঁজিবাজারের প্রায় ৭০ হাজার বিনিয়োগকারীর বেনিফিশারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট (বিও হিসাব) বন্ধ হয়েছে। গত ৩০ জুন (বৃহস্পতিবার) নির্ধারিত সময়ে নবায়ন না করায় হিসাবগুলো বন্ধ করেছে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে শেয়ার সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল)। সিডিবিএল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০১০ সালে ধসের পরও স্থিতিশীল হয়নি পুঁজিবাজার। বরং থেমে থেমে দরপতন অব্যাহত রয়েছে। ফলে মন্দা বাজারে আবারো পুঁজি হারানোর শঙ্কায় নতুন করে বিনিয়োগের আগ্রহ নেই বিনিয়োগকারীদের। তাই তারা তাদের বিও হিসাব নবায়ন করেননি। শুধু তাই নয়, এখনো ১৫ লাখ বিও অ্যাকাউন্ট টাকা ও শেয়ার শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে ১১ লাখ অ্যাকাউন্টে কখনো শেয়ার ছিলো না। তারা বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন।
সিডিবিএল’র তথ্যমতে, গত ১৮ জুন দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মোট বিও অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ছিলো ৩২ লাখ ১৮ হাজার। সেখান থেকে ৩০ জুন নির্ধারিত সময় শেষে গতকাল সোমবার পর্যন্ত তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩১ লাখ ৪৮ হাজার ২৩৪টিতে। অথাৎ জুন ক্লোজিংয়ে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব কমেছে ৬৯ হাজার ৭৬৬টি। এসব বিও হিসাবের মধ্যে পুরুষ বিনিয়োগকারী রয়েছেন ২২ লাখ ৮৬ হাজার ৩০৬ জন। মহিলা বিনিয়োগকারী রয়েছেন ৮ লাখ ৫১ হাজার ১৬২ জন। আর কোম্পানির নামে রয়েছে ১০ হাজার ৭৬৬টি বিও।
অপরদিকে আবাসিক ও অনাবাসিক বিনিয়োগকারীদের বিওর মধ্যে আবাসিক বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবের সংখ্যা ২৯ লাখ ৮১ হাজার ৭১৬টি। আর অনাবাসিক বিনিয়োগকারীদের সংখ্যা ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৫২টি। কোম্পানির নামে রয়েছে ১০ হাজার ৭৬৬টি বিও হিসাব। এছাড়াও ব্যক্তি, জয়েন্ট এবং কোম্পানির ক্যাটাগরির বিও হিসাবগুলোর মধ্যে ব্যক্তির নামে বিও হিসাব রয়েছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার ৩২টি, জয়েন্টলি রয়েছে ১১ লাখ ৮৭ হাজার ৪৩৬টি, কোম্পানির নামে বর্তমানে রয়েছে ১০ হাজার ৭৬৬টি বিও হিসাব।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য ৩০ জুনের মধ্যে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাব ফি দিয়ে নবায়নের নির্দেশনা দেয় সিডিবিএল। এতে বলা হয়, সিডিবিএলএ’র নিয়ম অনুসারে বিও হিসাব নবায়ন করতে ৫০০ টাকা ফি নেওয়া হয়। এই টাকার মধ্যে সিডিবিএলের চার্জ ১৫০ টাকা, হিসাব পরিচালনাকারী ব্রোকারেজ হাউস ১০০ টাকা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড একচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৫০ টাকা এবং বিএসইসির মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে ২০০ টাকা জমা হয়। গত বছর এ খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৮১ কোটি টাকা।
এ বিষয়ে সিডিবএলএ’র কর্মকর্তা শুভ্রকান্তি চৌধুরী বলেন, বিও হিসাব ক্লোজের সঠিক তথ্য আমার জানা নেই। তবে জুন ক্লোজিংয়ে যে সব বিও হিসাব কমে, তা সাধারণত নবায়ন ফি না দেওয়ার কারণেই হয়। প্রতি বছরই কিছু না কিছু বিও হিসাব বন্ধ হয়।
সিডিবিএলের আরেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, প্রতি বছর ৩০ জুনের মধ্যে নতুন বছরের জন্য বিও হিসাবগুলো নবায়ন করতে হয়। এবারের জন্য বিও প্রতি ৫০০ টাকা ফি নির্ধারণ করেছিলো সিডিবিএল। ব্যাংকের মাধ্যমে প্রতিটি বিও হোল্ডার এ টাকা জমা দিয়েছেন। যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নবায়ন ফি দিতে ব্যর্থ হয়েছেন তাদের অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করা হয়েছে। তবে বেশকিছু বিও হিসাবে শেয়ার থাকবে সেগুলো সাসপেন্ড (স্থগিত) করা হয়েছে। পরে নবায়ন ফি দিয়ে বিও সচল করতে পারবেন বলে জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।