পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে -প্রধানমন্ত্রী
বিশেষ সংবাদদাতা : দেশে চলমান জঙ্গি হামলা বন্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ও সমাজের সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি। সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সকল মন্ত্রী এবং দলের নেতাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। মন্ত্রীদের চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। জনগণের নিরাপত্তায় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। জনগণকে সতর্ক ও সচেতন করতে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে নিয়ে তৎপরতা চালাতে হবে। তিনি আরো বলেন, এসব জঙ্গিদের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। দেশের আস্তিক, নাস্তিক কেউই তাদের সমর্থন করে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারো ছেলে-মেয়ে যাতে জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত হতে না পারে, সেজন্য অভিভাবকরা যেন নিজ নিজ ছেলে-মেয়েদের দিকে লক্ষ্য রাখেন- সেটা তাদেরকে বোঝাতে হবে। মসজিদ-মন্দির-মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ধর্মের নামে কোন জিনিসটা অধর্ম হচ্ছেÑ তা ছাত্রদের বুঝাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটি স্থানে দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তুলতে হবে। প্রতিটি এলাকা যেন আমাদের নজরদারিতে থাকে সে বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে।
গুলশানে হামলার ঘটনা প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের কাছে বিশদভাবে বর্ণনা করেেেছন। তিনি বলেছেন, সরকার আন্তরিকতার সঙ্গে গুলশানের ঘটনা মোকাবেলা করেছে। দেশের বাইরে অনেকে মনে করতে পারে যে আমরা পশ্চাৎপদ। কিন্তু আমরা তা নই। আমরা ভালোভাবেই গুলশানের ঘটনা সামাল দিতে পেরেছি।
কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট আইনের খসড়া অনুমোদন
কৃষি খাতে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় গবেষণা কার্যক্রমের সুযোগ সৃষ্টি করে আইন তৈরির প্রস্তাবে সায় দিয়েছে সরকার। মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন, ২০১৬’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় ১৯৭৬ সালে অধ্যাদেশ জারির পর ১৯৮৪ ও ১৯৯৬ সালে দুই দফা তা সংশোধন করা হয়। উচ্চ আদালত সংবিধানের সপ্তম সংশোধনী বাতিল করায় সামরিক আমলের জারি করা অধ্যাদেশগুলোও বাতিল হয়ে যায়। ওই আইনগুলোর কার্যকারিতা রক্ষা করতে পরে নতুন আইন করার উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগ সরকার, যার অংশ হিসেবে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় আসে।
পাশাপাশি কৃষি গবেষণাকে ‘আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী’ করার বিষয়টি মাথায় রেখে এই খসড়া করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কৃষি গবেষণা ১৯৭৬ সালে যেখানে ছিল, এখন আর সেখানে নেই। পৃথিবী অনেক এগিয়ে গেছে। নতুন পরিস্থিতির সাথে তাল মেলাতে সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এটা করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে সংযোজিত নতুন বিষয়ের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ, ইনস্টিটিউটে নতুন জাতের বীজ উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করা, কৃষিতে আইসিটির প্রয়োগ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শস্য উৎপাদনের জন্য পঞ্জিকা তৈরি ও প্রকাশের কথাও রয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রয়োজনীয় দেশি ও বিদেশি প্রশিক্ষণ এবং উচ্চশিক্ষা প্রদানে এই ইনস্টিটিউট ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যদি এই বোর্ডের সদস্য বা পরিচালক সরল বিশ্বাসে কোনো কাজ করেন, সেজন্য তাদের বিরুদ্ধে কোনো দেওয়ানি বা ফৌজদারি ব্যবস্থা নেয়া যাবে না। আগের অধ্যাদেশে ১৮টি ধারা থাকলেও নতুন আইনের খসড়ায় আরও চারটি ধারা যোগ হয়েছে বলে শফিউল আলম জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।