পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, গুলশান হত্যাকা-ে বিদেশি বিনিয়োগে সামান্যতম নেতিবাচক প্রভাবও পড়বে না। তবে কিছুটা ‘এটা তো একটা শক্’ (ধাক্কা) বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। এদিকে বিভিন্ন সময়ে সন্ত্রাসী বা জঙ্গি গঠনে ঢালাওভাবে দেশের কওমী মাদ্রাসাগুলোকে দোষারোপ করা হতো, যা ঠিক নয় বলেও উল্লেখ করেছেন অর্থমন্ত্রী। গতকাল সচিবালয়ে নিজ দফতরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গুলশান হত্যাকা- বিদেশী বিনিয়োগে
তিনি এসব কথা বলেন। গুলশান হত্যাকা-কে ‘নৃশংস ও দুঃখজনক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা লজ্জাজনকও বটে। আমাদের সমাজ এদের তৈরি করেছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমার মনে হয় সন্তানদের সঙ্গে পিতা-মাতা ও অভিভাবকদের সম্পর্ক যথেষ্ট দুর্বল হয়ে পড়েছে। এটাকে শক্তিশালী করতে হবে।
মুহিত বলেন, ‘সন্ত্রাসী বা জঙ্গি গঠনে ঢালাওভাবে শুধু কওমী মাদ্রাসাকে দায়ী করা হয়, যা ঠিক নয়। দুষ্ট লোক সবখানে হয়। এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তারা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত। তবে কওমী মাদ্রাসাগুলোর শিক্ষাব্যবস্থা মান্ধাতা আমলের, এর সংস্কার হওয়া উচিত, আধুনিক জীবনের সঙ্গে যুক্ত করা উচিত। একজন মাদ্রাসার ছাত্র শুধু মাদ্রাসায় থাকবে, ইমাম হবে, আরেকটি মাদ্রাসা গড়বেÑইট ইজ নট লাইফ।’
‘গুলশান হত্যাকা-ে বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ বিশেষত পোশাক শিল্পে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে’Ñআন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের এ ধরনের প্রতিবেদনের প্রতি অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘সব রাবিশ। আমার মনে হয় না, গুলশান হত্যাকা-ে বিদেশি বিনিয়োগে সামান্যতম নেতিবাচক প্রভাবও পড়বে। তবে কিছুটা এটা তো একটা শক্ (ধাক্কা)।’
বরং ঈদে টানা ১০ দিনের ছুটিতে এর চেয়ে বেশি অর্থনীতিতে প্রভাব পড়তে পারে। এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অন মানি লন্ডারিংয়ের (এপিজি) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাংলাদেশের বৈঠক আগামী ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে। নির্ধারিত দিনেই ওই বৈঠক হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
‘গুলশানের ঘটনায় বিশ্ব নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন’Ñএ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা তো স্বাভাবিক। তবে একই সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকাও দেখছেন। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান জিরো টলারেন্স।
‘গুলশানের ঘটনার পর বিশ্বব্যাংকও বাংলাদেশ সরকারকে একটি চিঠি দিয়েছে’ এ প্রসঙ্গে মুহিত বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্টের একটি চিঠি আমি পেয়েছি। নাথিং এল্স।’ ‘এ ঘটনার পেছনে কারা থাকতে পারে’ এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এক্সট্রিমিস্ট।’
এ ঘটনায় অর্থমন্ত্রী হিসেবে দেশের ব্যবসায়ীদের প্রতি তার কিছু বলার আছে কি নাÑজানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে আমার বক্তব্য হচ্ছে, ট্র্যাজেডি একটা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যে কোনো দেশেই ঘটতে পারে। এটা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। বরং পিতা-মাতা হিসেবে সন্তানদের সঙ্গে কীভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা যায়, সেটা নিয়ে চিন্তা করা উচিত। এছাড়া আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, শিগগিরই বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।