Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সাত দিন পর পিএস মাহসুদের দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি

প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নাছিম উল আলম : দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ পরে বিআইডব্লিউটিসি গতকাল পিএস মাহসুদের বিষয়ে নিজস্ব তদন্ত কমিটি গঠন করলেও সে কমিটি কবে নাগাদ ক্ষতিগ্রস্ত নৌযানটি সরেজমিনে পরিদর্শন করবে তা ঠিক হয়নি এখনো। তবে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সমুদ্র পরিবহন অধিদফতর অভিযুক্ত নৌযান ‘এমভি সুরভী-৭’-এর সার্ভে সনদ পুনর্বহাল করে নৌযানটিকে এর মালিকের জিম্মায় প্রদান করেছে। গত ৪ জুলাই পিএস মাহসুদ ও এমভি সুরভী-৭’-এর মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় বিআইডব্লিউটিসি’র পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে নৌযানটির মালিককেই। বিআইডব্লিটিএর তরফ থেকেও অভিযুক্ত নৌযানটির রুট-পারমিট পুনর্বহাল করা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে। অভিযোগ রয়েছে, এসব কিছুই করা হয়েছে ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটির মধ্যে অস্বাভাবিক দ্রুত গতিতে।
তবে বিষয়টি নিয়ে গতকাল সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালকের সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, ঈদ-পরবর্তী কর্মস্থলমুখী মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই নৌযানটির সার্ভে সনদ পুনর্বহাল করা হয়েছে। তবে এর দুই চালকের সার্টিফিকেট স্থগিত করা হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা কোনো নৌযান পরিচালনা করতে পারবে না। আর এসব কিছুই নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাথে আলাপ-আলোচনা এবং পরামর্শ ও নির্দেশনার আলোকে করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে কবে নাগাদ সমুদ্র পরিবহন অধিদফতরের তদন্ত দল কাজ শুরু করবেÑএ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটির প্রধান নিজে ক্ষতিগ্রস্ত নৌযানটি পরিদর্শন করেছেন। খুব দ্রুত পুরো তদন্ত দল দুর্ঘটনাস্থলসহ দুটি নৌযানই পরিদর্শন করবে বলে তিনি জানান। তদন্ত কমিটিকে দুটি নৌযানের পরিচালনগত সব ভাল-মন্দ দিকসহ এর চালকদের দক্ষতার বিষয়টিও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে বলে মহাপরিচালক জানিয়েছেন।
এদিকে বিআইডব্লিউটিসি দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ পরের গতকাল একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সংস্থার জিএম মেরিন’কে প্রধান করে গঠিত ঐ কমিটিতে আরো ৩ জন জিএম রয়েছেন। তবে কবে নাগাদ তারা ক্ষতিগ্রস্ত নৌযানটি পরিদর্শন করবেন সে বিষয়ে গতকাল কমিটির প্রধান কিছু না বললেও বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে যত দ্রুত সম্ভব তারা পিএস মাহসুদসহ দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ নৌযনটি বরিশাল বন্দরে বিআইডব্লিউটিসি’র নিজস্ব ঘাটে অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে গত সপ্তাহধিককাল ধরে। নৌযানটির বাম পাশের প্যাডেলসহ লোয়ার ডেকের প্রায় ৬৫ফুট এলাকা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তার গায়েই  ১২শ টন ওজনের এমভি বাঙালী ও এমভি মধুমতিসহ একই মাপের প্যাডেল জাহাজগুলো বিপল সংখ্যক যাত্রী নিয়ে প্রতিদিন দুবেলা ভিড়ছে ও ছাড়ছে। এতে পিএস মাহসুদ-এর ক্ষতি আরো বৃদ্ধিসহ এর ঝুঁকিও বাড়ছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবাহাল মহল।
তবে গতকাল পর্যন্ত পিএস মাহসুদ-এর মেরামত শুরুর ব্যপারে সংস্থাটি কোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারেনি বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে সংস্থার চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পরিষদের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলাপ আলোচনা হলেও তদন্ত কমিটি ক্ষতিগ্রস্ত নৌযানটি পরিদর্শন না করা পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে না বলে জানা গেছে।
গত ৪ জুলাই রাতের শেষ প্রহরে যাত্রীবোঝাই পিএস মাহসুদ বরিশাল বন্দরে নোঙর করার মাত্র কিছুক্ষণ আগে বিপরিত দিক থেকে আসা বেসরকারী নৌযান এমভি সুরভী’র সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে এর ৫ যাত্রী নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সাত দিন পর পিএস মাহসুদের দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ