Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্যারেড গ্রাউন্ড নয় মিডিয়াভিত্তিক হবে মুজিবর্ষের আয়োজন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ মার্চ, ২০২০, ১২:০০ এএম

করোনাভাইরাসের কারণে জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে জনসমাগম পরিহার করতে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এর পরিবর্তে ইলেকট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। মুজিববর্ষে আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিদের ব্যাপারে আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানাবেন।

গতকাল সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এর আগে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ বিষয়ক একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপ-কমিটির আহ্বায়ক সৈয়দ হাসান ইমাম। প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

নাসের চৌধুরী বলেন, আমরা মিডিয়ার মধ্য দিয়ে আরো মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে পারবো। এছাড়া এতে স্বাস্থ্যঝুঁকিও কমবে। আমাদের মূল আয়োজন পরে পুর্নর্বিন্যাস করে বাস্তবায়ন করা হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর চ‚ড়ান্ত অনুমোদনের পরই বিস্তারিত বলা যাবে। বঙ্গবন্ধু সব সময় জনগণের জন্য ভাবতেন, সেদিক থেকে এই বর্ষ উদযাপনেও জনগণকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা।

সমন্বয়ক বলেন,সিদ্ধান্ত হয়েছে টেলিভিশনের মাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমরা আলাদাভাবে অনুষ্ঠান উপস্থাপন করবো। যাতে বাংলাদেশের প্রত্যেক অঞ্চলের মানুষ ঘরে কিংবা তার প্রতিষ্ঠানে বসে উপভোগ করতে পারে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূরের নেতৃত্বে একটি টেকনিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমে রয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী, রামেন্দ্র মজুমদার, রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা, বিটিভির মহাপরিচালক, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক, চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক, অ্যাটকোর প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রিসিডেন্ট এবং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের প্রতিনিধিরা। আমরা কী কী করতে যাচ্ছি তা আমাদের সভাপতিকে অবহিত করে তারপর আপনাদের জানাতে পারবো। এই হচ্ছে আমাদের আজকের সিদ্ধান্ত।

কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা জনেন, গতকাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয় সভা প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে পুরো বিষয় পর্যালোচনা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা বলেছেন যে বঙ্গবন্ধু সারাজীবন সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তার স্বপ্ন ছিলএকটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠন। পুরো বিষয়টি বিবেচনায় রেখে যাতে সাধারণ মানুষের কষ্ট না হয়, সেই আলোকে সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী ১৭ মার্চ মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল, সেখানে জনসমাগম এড়িয়ে আমরা মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করবো। তাই সেখানে অনুষ্ঠানটি হচ্ছে না। পরবর্তী কোনও একটি সময়ে হবে। সারা জাতি উন্মুখ হয়ে আছে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান করার জন্য। ক্ষণগণনা চলছে। তাই জনসমাগম পরিহার করে স্কুল কলেজে সীমিত আকারে অনুষ্ঠান হবে।

সমন্বয়ক বলেন, জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে অনুষ্ঠান পুনর্বিন্যাস করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান অনুষ্ঠানগুলো করবে। আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট বা স্মৃতি জাদুঘরে, টুঙ্গিপাড়ায় সীমিত আকারে অনুষ্ঠান চলবে। পরবর্তীতে সারাদেশেই অনুষ্ঠান চলবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে এর সূচি চ’ড়ান্ত করবো। তিনি বলেন, মুজিববর্ষে আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিদের ব্যাপারে আপাতত তেমন কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে ব্রিফ করবেন।

কমিটির সভায় সরকারে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মন্ত্রণায়রের মন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ