পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোর্ট রিপোর্টার : চাঁদাবাজির মামলায় রাজধানীর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আমিন খানের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপু এ আদশ দেন। এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক কাজী গোলাম কবির ওই এসআইকে সাত দিন রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন। ওই আবেদনে বলা হয়, কোতোয়ালি থানায় কর্মরত (সাময়িক বরখাস্ত) নুরুল আমিন খান গত বছরের ১৪ জুলাই থেকে জামিনে রয়েছেন। তিনি এজাহারভুক্ত আসামি এবং ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর মামলার বাদী বিমল চন্দ্র আইচকে অন্যায় লাভের উদ্দেশে বেআইনিভাবে আটক করেন এসআই নুরুল আমিন খান। তিনি খুন ও জখমের ভয় দেখান এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন চালান। তিনি অপর সহযোগী আসামিসহ বাদীকে দিয়ে জোরপূর্বক এসএ পরিবহনের মাধ্যমে নগদ ১৪ লাখ টাকা আনিয়ে তা গ্রহণ করে নিজের কাছে রাখেন। প্রধান আসামির নেতৃত্বে অন্য আসামিরা বাদীকে আটক রেখে বাদীর মাইক্রোবাস নিয়ে যান এবং বাদীর কাছ থেকে মাইক্রোবাস বিক্রি বাবদ ২০ লাখ টাকা দাম নির্ধারণ করে জোরপূর্বক নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সই করিয়ে নেন। আসামির কাছ থেকে বাদীর কাছ নেয়া চাঁদা বাবদ ১৪ লাখ টাকা ও জোরপূর্বক নেয়া নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প তার কাছে রয়েছে। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামি সরকারি চাকরি করার সুবাদে পুলিশ বাহিনীর সুনাম ক্ষুণœ করে এমন জঘন্য অপরাধ করেছেন। আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে চাঁদা হিসেবে নেয়া টাকা, লুণ্ঠিত মালামাল ও স্ট্যাম্প উদ্ধার করা সম্ভব হবে। তাই ঘটনা তদন্তের স্বার্থে জামিন বাতিল করে তাঁকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন বাতিল করে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। চাঁদাবাজির ঘটনায় রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানায় বিমল চন্দ্র আইচ এ আসামির বিরুদ্ধে গত বছরের ১ জানুয়ারি চাঁদাবাজির মামলা করেন। এ মামলার অপর আসামি শামীম খান আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।