পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধর্মপ্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেছেন, এ বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ২৩ জুন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৯ জিলহজ ১৪৪১ হিজরি, ৩০ জুলাই এ বছরের পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। আশা করছি ১ জিলকদ (২৩ জুন) হজ ফ্লাইট শুরু হবে।
গতকাল ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে করোনাভাইরাসের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের হজযাত্রীদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ চলতি বছর হজ গমনেচ্ছু হজযাত্রীদের নির্ভয়ে ব্যাংকে টাকা পরিশোধ করে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে নিবন্ধন সম্পন্ন করারও আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে যদি কোনো আগ্রহী ব্যক্তি এ বছর হজে যেতে না পারেন, তাহলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রত্যেকের টাকা ফেরত দেয়া হবে।
তিনি বলেন, নির্ধারিত দিনক্ষণেই জিলহজ মাসের ৯ তারিখ মক্কায় পবিত্র হজ পালিত হবে। এক্ষেত্রে দিনক্ষণ বা সময়ের পরিবর্তন হবে না। যথাসময়ে নিবন্ধন না করলে কেউ কেউ চলতি বছর হজ পালন না-ও করতে পারেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, সউদী সরকারের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় গত বছরের চেয়ে এবার ১০ হাজার হজযাত্রীর কোটা বৃদ্ধি করেছে। সে হিসাবে এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজারসহ মোট ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন মুসল্লি হজে যেতে পারবেন।
ওমরাহ ভিসা বন্ধে সউদীর সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তারের কারণে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর শতাধিক দেশ সতর্কতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। সউদী আরব সতর্কতামূলকভাবে ওমরাহ ভিসা ইস্যুকরণ সাময়িক বন্ধ রেখেছে। সউদী সরকারের এ উদ্যোগ সময়োপযোগী স্বাগত জানাই।
তিনি বলেন, আশা করছি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র হজের সময়ের পূর্বেই বিশ্ববাসীকে এ বিপদ থেকে অচিরেই রক্ষা করবেন। অনিশ্চয়তার কথা চিন্তা করে কেউ হজের নিবন্ধনে বিলম্ব করলে তার হজযাত্রার সমস্যা হতে পারে। আগে থেকেই যদি একজন হজযাত্রী হজের প্রস্তুতি গ্রহণ না করেন, তা হলে তিনি এ বছর হজে যেতে পারবেন না। এমতাবস্থায় হজযাত্রীদের সরকার নির্ধারিত সময়ে ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে নিবন্ধন কাজ সম্পন্ন করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি জানান, ২ মার্চ থেকে হজ নিবন্ধন শুরু হলেও করোনাভাইরাস আতঙ্কে কাক্সিক্ষত সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল দুপুর পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭২৫ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মাত্র ৮৪৮ জন নিবন্ধন করেছেন। চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার জন পবিত্র হজে যাবেন। সে হিসেবে নিবন্ধন হতাশাজনক।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভায় এ বছরের হজ প্যাকেজ অনুমোদিত হয়েছে। এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট তিনটি প্যাকেজ ঘোষিত হয়েছে। খরচ প্যাকেজ-১ এ মোট চার লাখ ২৫ হাজার, প্যাকেজ-২ এ তিন লাখ ৬০ হাজার ও প্যাকেজ-৩ এ তিন লাখ ১৫ হাজার টাকা। বেসরকারি প্যাকেজে তিন লাখ ৫৮ হাজার টাকা খরচ হবে।
নিবন্ধন করার পর করোনাভাইরাসের কারণে হজে যেতে না পারলে নিবন্ধনকারীর টাকা ফেরত দেয়া হবে কি-না কিংবা জটিলতায় পড়তে হবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে হজে যেতে না পারলে যখন টাকা ফেরত চাইবেন তখনই টাকা ফেরত দেয়া হবে। হজযাত্রী চাইলে টাকা উত্তোলন না করে পরের বছর কিংবা তারও পরের বছরও হজে যেতে পারবেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, নিবন্ধনের পর সৌদি আরবে মোয়াল্লিম নির্ধারণ, মক্কা-মদিনায় বাড়িভাড়া করা ও আনুষঙ্গিক ব্যয় মেটানোর জন্য সৌদি আরবে অর্থ পাঠানোর কাজ সম্পন্ন করতে হবে। হজে যাওয়ার আগে একজন হজযাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, টিকা গ্রহণ, হজের প্রশিক্ষণ গ্রহণ, বিমানের টিকিট সংগ্রহ ও ভিসা প্রসেসসহ যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে হয়। এ কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ কাজগুলো সম্পন্ন করতে না পারলে একজন হজযাত্রীর হজে গমন সম্ভব নয়। নিবন্ধন করলে হজযাত্রীর আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তছলিমও ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর কথায় সায় দেন। তিনি বলেন, হজে যেতে না পারলে হজযাত্রীদের টাকা ফেরত দেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।