পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম/এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে। ৭ মার্চের ভাষণ এবং ১৬ ডিসেম্বরের পাক বাহিনীর আত্মসমর্পনের কারণে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম।
যে স্থানে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাষণ দেন সেই ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী (তৎকালীন রেসকোর্স) উদ্যানে গতকাল কাউকে দেখা যায়নি। বিশ্ব কাঁপানো ঐতিহাসিক ওই ভাষণকে কেন্দ্র করে গতকাল শনিবার ‘৭ মার্চ’ দেশব্যাপী পালিত হয় নানা কমর্সূচি। ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন স্থানে বাজানো হয় জাতির পিতার সেই বজ্রকণ্ঠের ভাষণ। কিন্তু যে স্থানে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু ওই ভাষণ দিয়েছিলেন, সে স্থানেই তা বাজানো হয়নি। ঐতিহাসিক ওই উদ্যানে ছিল না চোখে পড়ার মতো কোনও কর্মসূচিও। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীদের অনেকে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। সরেজমিন ঘুরে এবং খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকা গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে। প্রতি বছর এখানে ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণ বাজানো হয়। গতকাল সেই ঐতিহাসিক স্থানে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় দিবসটিতে এবার কোনও আয়োজন নেই। প্রতিদিন বিকেলে যারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঘুরতে আসেন তাদের অনেকেই এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী বলেন, অনেক জায়গায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজানো হচ্ছে। কিন্তু এখানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) কোনও আয়োজন নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাতেও বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনেছি। যে স্থানে বঙ্গবন্ধু দাঁড়িয়ে সেই ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন, সেখানে ভাষণ বাজানো উচিত ছিল। কিন্তু তা দেখলাম না। ঘুরতে আসা আরেকজন বলেন, আওয়ামী লীগের কিছু নেতার মধ্যে মুজিববর্ষ এবং ৭ মার্চের ভাষণ দিয়ে যে ঢাকঢোল পেঠানো হচ্ছে তা লোক দেখানো না আন্তরিকতা তা বোঝা যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে অবহেলা করায়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দোকানদার নান্নু মিয়াজী বলেন, উদ্যানে এবছর কোনও কর্মসূচি দেখিনি। অন্যান্য বছর দেখেছি স্বাধীনতা টাওয়ারের পাশে প্যান্ডেল বানানো হতো। মাইকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজানো হতো।
জানতে চাইলে জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধু যে স্থানে ৭ মার্চের ভাষণ দিয়েছিলেন, সে স্থানে সেই ভাষণ বাজানো উচিত ছিল। স্বাধীনতা জাদুঘরের ইনচার্জ গোলাম কাউসার বলেন, আমাদের দায়িত্ব স্বাধীনতা জাদুঘরের ভেতরের দেখভাল করা। ৭ মার্চের কর্মসূচির আয়োজন করার দায়িত্ব আমাদের না। এটা গণপূর্ত অধিদফতরের অধীনে। কোনও কর্মসূচী কেন আয়োজন করা হয়নি, এটা তারাই ভাল বলতে পারবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।