পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ পালন না করার অর্থ দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করার শামিল। ৭ মার্চের ভাষণ কোনও দলের নয়, সমগ্র জাতির।
গতকাল শনিবার রাজধানীর তথ্য ভবন মিলনায়তনে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর (ডিএফপি) আয়োজিত ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ বিষয়ক আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, তথ্যসচিব কামরুন নাহার।
তিনি বলেন, সমগ্র জাতি ৭ মার্চ পালন করলেও বিএনপিসহ কয়েকটি দল এটি পালন করে না, তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই ভাষণকে স্বীকৃতি দিতে পারেনি। ইউনেস্কো এই ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্যের দলিল হিসেবে ঘোষণা এবং স্বীকৃতি দিয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর দ্বারপ্রান্তে বিএনপি ভুলের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসবে এবং ভবিষ্যতে ৭ মার্চ পালন করবে। তাহলে দেশের মানুষ তাদেরকে বাহবা দেবে।
অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালের ৭মার্চে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ভাষণ ধারণকারী দলের সদস্যদের মধ্যে স্মৃতিচারণ করেন, আমজাদ আলী খন্দকার ও সৈয়দ মইনুল আহসান। পরে ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ধারণকারী ৮ সদস্যদের মধ্যে পদক প্রদান করেন তথ্যমন্ত্রী। এর মধ্যে আমজাদ আলী খন্দকার ও সৈয়দ মইনুল আহসান সরাসরি এবং ও অপর ছয় প্রয়াত সদস্য আবুল খায়ের মো. মহিব্বুর রহমান, জি জেড এম এ মতিন, এম এ রউফ, এস এম তৌহিদ, মো. হাবিব চোকদার ও মো. জোনায়েদ আলীর পরিবারের সদস্যরা হাছান মাহমুদের হাত থেকে ৭ মার্চ সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন।
মন্ত্রী বলেন, আমজাদ আলী খন্দকার ও সৈয়দ মইনুল আহসানসহ সেদিন যারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সংরক্ষণ করেছিলেন। সে কারণে তাদের নাম ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু এমনভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন যাতে করে পাকিস্তানিরা বঙ্গবন্ধুকে বিদ্রোহী হিসেবে বলতে না পারে । আবার স্বাধীনতার ডাকও তিনি দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণের পরেই বাঙালি সশস্ত্র সংগ্রামের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল। মতিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর যে মুনশিয়ানা তা তার বক্তৃতা ও কথার মাধ্যমে ফুটে উঠেছিল। সেই কারণে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ। গণনা করা হলে ৭ মার্চের ভাষণই হবে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি শোনা ভাষণ। এই ভাষণ এমন একটি ভাষণ যেটি মানুষকে থমকে দেয় এবং শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত না শুনলে অপূর্ণতা থেকে যায়।
হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপুরনের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমরা যদি আরও সুযোগ দেই তাহলে কয়েক বছর পরেই পৃথিবীর মানুষ মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর নয়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বদলে যাওয়ার গল্প শুনবে। বাংলাদেশ একটি সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।