পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্যাসিনো-কান্ডের সময় গ্রেফতার হওয়া ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া (জি.কে) শামীম অস্ত্র মামলায় ৬ মাসের জামিন পেয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে এ জামিনের কথা স্বীকার করেনি অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়। গতকাল সকালে রটে যায় জিকে শামীমের জামিন লাভের তথ্যটি। দুপুর নাগাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে জামিনের বিষয়টি। কিন্তু তিনি জিকে শামীম কি না নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে সরকারপক্ষের কৌঁসুলি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ফজলুর রহমান খান (এফআর খান) গতকাল বরেন, যুবলীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা জি কে শামীমের জামিন হয়েছে কিনা, রোববার খোঁজ-খবর নেয়া হবে। তিনি জানান, এর আগেও কয়েকবার জি কে শামীম জামিন আবেদন করলে তা কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন আদালত। কিন্তু জামিন হয়েছে কিনা বিষয়টি জানা নেই।
এদিকে গুঞ্জন উঠেছে গত ৬ ফেব্রুয়ারি কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন কারাবন্দি জি. কে. শামীম। সরকারদলীয় এক আইনজীবী নেতা তার জামিনের শুনানি করেন। তার জামিনের লিখিত আদেশ প্রকাশিত হয় গত ১২ ফেব্রুয়ারি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফজলুর রহমান খান মুঠোফোনে বলেন, জি কে শামীম অন্য মামলা নিয়ে গিয়েছিল, ক্যাসিনো এবং আরও কিছু মামলা ছিল। কিন্তু অস্ত্র মামলার কথা আমার জানা নেই। আমি কোর্টে থাকি সারাদিন। আমার জানামতে জি কে শামীমের কোনো মামলার জামিন হয়নি। এটা আমার দেখতে হবে। রোববার পর্যন্ত একটু অপেক্ষা করেন।
জামিনের কাগজ পাওয়ার বিষয় উল্লেখ করা হলে তিনি বলেন, আমাকে একটু কনফার্ম হতে হবে। জজ সাহেব নিজের মতো করে দিয়েছেন কিনা, সেটা আমার দেখতে হবে। ক্যাসিনোর কেসগুলো আমরা অপোজ করি বেশি করে। এখানে ভুয়া জামিনও তো বহু হয়েছে। আমি নিজে ধরেছি। জি কে শামীমের মামলার শুনানির সময় এই কথা ওঠেইনি যে জামিন হবে। এখন যদি জি কে শামীমের জায়গায় অন্য শামীম হয়, হতেও পারে। আমার তো কোর্টে গিয়ে কনফার্ম হতে হবে।
প্রসঙ্গত: গতবছর ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর নিকেতনের নিজ কার্যালয় থেকে টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় জি কে শামীমকে। পরদিন গুলশান থানায় অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা করা হয়। তিন মামলার রিমান্ড শেষে তার এখন কারাগারে থাকার কথা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।