Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জঙ্গিদের পথপ্রদর্শক হচ্ছে আওয়ামী শাসক গোষ্ঠী : রিজভী

প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেছেন, সরকারের কর্মকা-ে সুস্পষ্ট উগ্রবাদী জঙ্গিগোষ্ঠীর অপতৎপরতার পথপ্রদর্শক হচ্ছে আওয়ামী শাসক গোষ্ঠী। এরা জঙ্গিবাদী অশুভ শক্তিকে জিইয়ে রাখতে চাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ওদের (জঙ্গি) রক্তক্ষয়ী কর্মকা-ের দিকে জনগণের দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকলে অবৈধ সরকারের প্রতি পদত্যাগের চাপ কমে যাবে। সরকার জঙ্গিবাদ দমনের নামে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপিকে নির্মূল করার পুরনো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
গতকাল রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
রিজভী আহমেদ বলেন, ঈদের দিন থেকে শুরু করে আজকের দিন পর্যন্ত কয়েকদিনে দেশে যেন একটি সন্ত্রাসের ব্রিডিং ফার্মে পরিণত করা হয়েছে। দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে শুধু খুনোখুনি, রক্তারক্তি ও দাঙ্গা-হাঙ্গামার তা-ব চলছে। কোনো সমন্বিত প্রচেষ্টা তো দূরে থাক, এই সরকারের দ্বারা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে উগ্রবাদী দুষ্কৃতকারীদের শিকড় সন্ধান ও তা নির্মূল করার কোনো দৃষ্টান্ত এখনো জনগণের দৃষ্টিগোচর হয়নি।  
বরং সরকার চিরাচরিত বিরোধী রাজনীতিকদের প্রতি দোষারোপের খেলা অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। তারা (সরকার) জঙ্গিবাদ নয়, বিএনপিকে নির্মূল করার পুরনো পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।  
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউল্লাহকে গ্রেফতার করে ক্রসফায়ারে হত্যা করার ঘটনার নিন্দা জানান রিজভী আহমেদ।
তিনি বলেন, ঈদের পরের শনিবার ওয়ালিউল্লাহ ঢাকায় আসার পথে সন্ধ্যায় দেবহাটার পারুলিয়া নামক স্থান থেকে নামিয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে রাত তিনটায় ক্রসফায়ারে হত্যা করে। আমরা ওয়ালিউল্লাহকে হত্যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ঈদের দিন গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জঙ্গিবাদী কর্মকা- ইসলামের পথ নয় বলে যে মন্তব্য করেছেন, তার সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী সঠিক কথা বলেছেন। আমরা তার বক্তব্যের সঙ্গে একমত। তবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা প্রশ্ন রাখতে চাই, ক্রসফায়ারের নামে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হত্যা করা কিসের পথ? মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশব্যাপী পাইকারিভাবে বিএনপির নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা কিসের পথ? নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি উঠলেই সরকার প্রধান কর্তৃক দেখে নেব, কাউকে ছাড় দেয়া হবে নাÑপ্রতিনিয়ত এসব হুমকি কিসের পথ?  
ঈদের সময়ে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন সারাদেশে ‘চাঁদাবাজি আধিপত্য’ বজায় রেখেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমান, আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, একুশে টিভির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, নাগরিক ঐক্যের প্রধান মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ সম্প্রতি ‘সাঁড়াশি’ অভিযানে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিও জানান রিজভী।
উগ্রবাদ দমনে আবারো জাতীয় ঐক্যের আহ্বনে দলের অবস্থানের কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আমরা উদাত্ত কণ্ঠে আবারো বলতে চাই, সম্মিলিত প্রচেষ্টায়ই আজকের জাতীয় সমস্যার সমাধান সম্ভব। রাজনীতিতে বিচ্ছেদ, বিনাশ, ব্যবধানের চর্চা অব্যাহত থাকলে কোনো না কোনো রূপে ভিন্নমত বিধ্বংসী উগ্রবাদীরা মাথাচাড়া দেবেই। তাই গণতন্ত্রের পথে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি তৈরি করা এখনই প্রয়োজন। এই মুহূর্তে প্রয়োজন, নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন। ক্ষমতাভোগের উগ্র বাসনা ত্যাগ করে সরকারের উচিত নিজেরা পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের পথকে সুগম করা।  
সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুুস সালাম আজাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জঙ্গিদের পথপ্রদর্শক হচ্ছে আওয়ামী শাসক গোষ্ঠী : রিজভী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ