পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারের ইচ্ছা ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে বিএনপি সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু সরকারের ইচ্ছা ছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তি কোনোদিন হবে না। সরকার ইচ্ছা করলে আদালত তাকে জামিন দিয়ে দেবেন। কারণ, আদালত এখন আর স্বাধীন নেই, সরকারের ইচ্ছায় চলে। পিরোজপুরের ঘটনা তা-ই প্রমাণ করে। গতকাল শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে নাগরিক অধিকার, ন্যায়বিচার এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতা ফোরাম এ সভার আয়োজন করে।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে এখন বিকল্প হলো আন্দোলন। আমি বিশ্বাস করি আন্দোলন হবে। কেননা, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রপ্রিয়, স্বাধীনতাপ্রিয়। সব গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমিক, রাজনীতিক ও সামাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
পিরোজপুরের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা চলে যাওয়ার পর, গত ১১ ডিসেম্বর প্রকাশিত গেজেটে নিম্ন আদালতকে প্রশাসনের অধীন করা হয়েছে; একেবারে লিখিতভাবে আইন করে। এখন নিম্ন আদালত প্রশাসনের অধীনে অর্থাৎ রাজনৈতিক ইচ্ছায় চলে।
বিএনপির এই নেতা আক্ষেপ করে বলেন, আমার কাছে সবচেয়ে বেদনার বিষয়, গত ১১ বছরে একটা রায়েও উচ্চ আদালত বা নিম্ন আদালত থেকে আমাদের দ্বিতীয় শ্রেণির কোনও নেতা রিলিফ পাননি।
জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রব বলেন, আইন ও বিচার বিভাগ দুটোই নিহত, আমরা আহত। কোর্টে গিয়ে দেনদরবার করে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। রাষ্ট্র আর রাষ্ট্র নেই। রাষ্ট্র ও জনগণ এখন প্রশাসনিক বিভাগের অধীনে। সংবিধান বহাল রেখে সামরিক শাসন জারি করেছিল মোস্তাক, আর বর্তমান সরকার সংবিধান বহাল রেখে অলিখিত সামরিক শাসন জারি করেছে।
সরকারের উদ্দেশে জেএসডি সভাপতি বলেন, ‘জনগণ প্রস্তুত হয়ে আছে। কিন্তু নেতৃত্বের সংকট। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ছেলেটি মারা গেছে, তার জানাজায় এক লাখ লোক হয়েছে। এটা একটা মেসেজ। আপনি যতই উন্নয়নের কথা বলেন না কেন, মানুষের মন ভোলাতে পারবেন না। জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তারা ভোটকেন্দ্রে যাবে না। ভোটকেন্দ্রে না গেলে সরকার পরিবর্তনের উপায় কী? জনগণ বলছেন, আপনারা রাজনৈতিক নেতারা সিদ্ধান্ত নেন, আমরা প্রস্তুত আছি।
বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা রাস্তায় নামেন, আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। বাংলাদেশের বুকে আর যেন এরকম কোনও স্বৈরশাসক না আসে সেই ব্যবস্থা করেন। শুধু এই সরকার বদলালে হবে না, শাসন পদ্ধতিও বদলাতে হবে, যাতে এ ধরনের ফ্যাসিস্ট কর্তৃত্ববাদী সরকার আর কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে না পারে।
সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহীম, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, গণফোরামের আব্দুল্লাহ আবু সায়্যেদ প্রমুখ।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।