পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সৌমিত্র চক্রবর্তী, সীতাকুন্ড থেকে : সীতাকুন্ডে জঙ্গি সন্দেহে চার যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে উপজেলার বাড়বকুন্ড রেলগেইট এলাকায় একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতদের কাছ থেকে কিছু বৈদ্যুতিক তার ও কিছু সন্দেহজনক বই পাওয়া গেছে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বাড়বকু- বাজারের পূর্বপার্শ্বে অবস্থিত অনন্তপুর গ্রামের একটি দোকানে যৌথভাবে অভিযান চালায় সীতাকু- থানা পুলিশ ও চট্টগ্রাম জেলা ডিবি পুলিশ। অভিযানে প্রথমে ৩ যুবক ও পরে আরো একজনসহ মোট ৪ জনকে আটক করা হয়। এদিকে ৪ জন আটক হলেও ঘটনাস্থল থেকে আরো কয়েকজন যুবক পালিয়ে যাওয়ায় তাদের গ্রেপ্তারে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত টানা অভিযান চলতে থাকে। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে সীতাকু- থানার এএসপি, ওসিসহ বেশ কয়েকজন এসআই ও সঙ্গীয় ফোর্স অভিযানে অংশ নেয়। অনন্তপুর গ্রামসহ আশপাশ ঘিরে ফেলে পুলিশের এই অভিযানে এলাকায় নানান কানাঘুষা শুরু হয়। সেখানে বড় ধরনের কোনো জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পেয়েই পুলিশ এ অভিযান চালাচ্ছে বলে ধারণা করছে এলাকার সাধারণ মানুষ। তবে পুলিশের কাছ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে পুলিশি অভিযানের কথা স্বীকার করে বাড়বকু- ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ মিয়াজী প্রতিবেদককে বলেন, তার ইউনিয়নের মান্দারিটোলা গ্রামের জয়নাল আবেদিন প্রকাশ জুনু ভা-ারির ছেলে রাজিব পাহাড়ের পাদদেশে একটি ভাড়ার ঘরে বহিরাগত জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়। সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করলেও মূল হোতা রাজীবকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। চেয়ারম্যান ছাদাকাত উল্লাহ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বাড়বকু-ের অনন্তপুর গ্রামের যেখানে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে সেখানে চিটাগাং কেমিক্যাল কমপ্লেক্সে (সিসিসি) নামক রাষ্ট্রয়াত্ত কারখানায় বেশ কয়েকজন বিদেশি নাগরিক কর্মরত আছে। সম্ভবত তাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেই জঙ্গিরা সেখানে অবস্থান নেয়। সেখানে দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত পুলিশি অভিযান অব্যাহত ছিল বলে জানান তিনি। এদিকে অভিযানে অংশ নেয়া সীতাকু- থানার এক অফিসার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আটককৃত যুবকদের কাছ থেকে কিছু বৈদ্যুতিক তার ও সন্দেহজনক বই পাওয়া গেছে। তারগুলো বোমা তৈরি বা অন্য কোনো কাজে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে আনা হতে পারে। ওই এলাকায় মোবাইল টেকিংয়ে কয়েক যুবকের সন্দেহজনক কথাবার্তার উপর ভিত্তি করে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এদিকে ঘটনার পর থেকে বাড়ানো হয়েছে থানার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও। সেখানে কোনো সাংবাদিককেও প্রবেশ করতে ও তথ্য দেয়া হচ্ছে না। বন্ধ রাখা হয়েছে থানার বাইরের গেট।
সীতাকু- থানার ওসি মোঃ ইফতেখার হাসান অভিযানের সত্যতা স্বীকার করে প্রতিবেদককে বলেন, কিছু তথ্যের ভিত্তিতে বাড়বকু-ে অভিযান চালানো হচ্ছে। মোট ৪ জনকে আটক করা হলেও তাদের কাছ থেকে জঙ্গি কানেকশন সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।