পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই দেশে ইলেকট্রনিক সাংবাদিকতার যাত্রা শুরু হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উত্থানে মূলধারার গণমাধ্যম হুমকির মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) এর দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন শুরু হয়। আয়োজনের প্রথম সেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এসময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়েই ইলেকট্রনিক সাংবাদিকতার শুরু। ১৯৯৬ সালে লাইসেন্স দেয়ার মাধ্যমে। এরপর ২০০৯ সালে আমরা যখন ক্ষমতায় আসি তখন চ্যানেল ছিল ১০টি, এখন ৩২টি। অন্তত এক ডজন কমিউনিটি রেডিও এর লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে মূলধারার গণমাধ্যম এখন হুমকির মুখে। তাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে। বেশিরভাগ বিজ্ঞাপন এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং অনলাইনে চলে গেছে। এটা শুধু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট না, পুরো বিশ্বেই। যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের অনেক পত্রিকা বন্ধ হয়ে গেছে। সার্কুলেশন কমে গেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুব ভালো কিছু না। ইউরোপের এক জরিপে দেখা গেছে, সেখানকার ৮০ শতাংশ মানুষ মনে করে, সামাজিক যোগাযোগ সামাজিক অস্থিরতা তৈরি জন্য দায়ী। গণতন্ত্র ও ব্যক্তি স্বাধীনতার জন্য হুমকি এগুলো। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা এখন বিদেশি চ্যানেলে দেশীয় পণ্যের বিজ্ঞাপন বন্ধ করেছি। আগে চ্যানেলে সিরিয়াল ছিল না, আমরা শৃঙ্খলা এনেছি।
তবে টেলিভিশন সম্প্রচার খাতে ডিজিটাল বিপ্লব আনতে হবে বলে মনে করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, দেশ ডিজিটাল হলেও এটা সত্য, টেলিভিশন সম্প্রচার ব্যবস্থা ডিজিটাল হয়নি। ক্যাবল অপারেটরদের সঙ্গে নিয়ে আমরা কাজ করছি। গত ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকায় এমনটা করার কথা ছিল। কিন্তু করেনি। তাদের আবার সময় নির্ধারণ করে দেব। কাজ না হলে কঠোর হব। প্রয়োজনে আইন প্রয়োগ করব।
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেল বলেন, গণতন্ত্রের জন্য মিডিয়ার স্বাধীনতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মিডিয়া উন্নয়ন তুলে ধরে। সাংবাদিকরা যেন সব ধরনের প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে কাজ করতে পারে, সে পরিবেশ নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নইলে মূলধারার গণমাধ্যমের ওপর থেকে সাধারণ মানুষের আস্থা ওঠে যাবে। যা ভাল কিছু না। এমনটা কাম্য না।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম বলেন, এই সরকারের আমলে সাংবাদিকরা সবসময় নিরাপদ। এই সরকার সাংবাদিকদের সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছে।
অনুষ্ঠানের প্রথম সেশনে সভাপতিত্ব করেন বিজেসি'র সভাপতি রেজোয়ানুল হক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।