পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার ঃ পিস টিভি বন্ধের সিদ্ধান্তকে অভিনন্দিত করেছেন আওয়ামী ওলামা লীগ, হক্কানী তরিকত ফেডারেশনসহ বিভিন্ন পীর-মাশায়েখ এবং ওলামায়ে কেরাম। তারা বলেছেন, পিস টিভির বক্তাগণ দীর্ঘদিন থেকে তাদের বক্তব্যে জঙ্গিবাদকে উস্কে দিচ্ছিল। পিস টিভির বক্তা জাকের নায়েক সরাসরি বলেছেন, প্রত্যেক মুসলমানকে টেরোরিস্ট হতে হবে। তিনি বলেছেন, আমি একজন কট্টর মুসলমান। এছাড়াও জাকের নায়েক মুসলমানদের বিভিন্ন শরীয়তী বিষয় এবং মাজহাব নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে আসছিলেন। এমতাবস্থায় পিস টিভি বন্ধের সিদ্ধান্ত দেরিতে হলেও সঠিক হয়েছে। পীর-মাশায়েখ ওলামায়ে কেরাম পূর্ব থেকেই পিস টিভি বন্ধের দাবি করে আসছিলেন। তা ছাড়া গুলশানের জঙ্গি হামলার পর এ ঘটনার পেছনে পিস টিভির মদদ রয়েছে এ সংবাদ প্রায় সকল মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছিল।
বাংলাদেশে পিস টিভি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানিয়েছেন আওয়ামী ওলামা লীগের সেক্রেটারি কাজী হাসান শেখ শরিয়তপুরী, ইসলামিক ফ্রটের চেয়ারম্যান আল্লামা বাহাদুর শাহ্ মোজাদ্দেদী ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহানগর সভাপতি মনজুরুল ইসলাম আফেন্দি। পৃথক পৃথক বক্তব্যে তারা বলেছেন, গুলশানে হামলার জঙ্গি ঘাতক ৩ জন পিস টিভির অনুসারী। অন্যরাও তাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত বলে ধারণা করা হয়। উল্লিখিত তিনজনের দুজনকে ফেসবুকে জাকের নায়েকের সাথে দেখা গেছে। গুলশানে হামলার ঘাতক ইমতিয়াজ ফেসবুকে জাকের নায়েকের বক্তব্য প্রত্যেক মুসলমানকে টেরোরিস্ট হতে হবে। সহ-ভিডিও পোস্ট করেছিল। টুইটার অনুসরণ করে দেখা যায়, গুলশানের জঙ্গি হামলার অপর ঘাতক নির্বাস ইসলাম ২০১৪ সাল থেকে পিস টিভিকে অনুসরণ করতো। আর এভাবেই বিত্তশালী পরিবারের এবং উচ্চ শিক্ষিত যুবকরা পিস টিভি অনুসরণ করে জাহান্নামী হচ্ছে। এমতাবস্থায় পিস টিভি কেবল নিষিদ্ধ নয়। দেশের প্রত্যেক সিডির দোকান থেকে একই সময়ে যৌথ অভিযান চালিয়ে পিস টিভির সকল সিডি সিজ করতে হবে। এছাড়া কোনো পন্থাতেই যেন পিস টিভি দেখা না যায় তার পরিপূর্ণ ব্যবস্থা করতে হবে তথ্য মন্ত্রণালয়কে। ওলামায়ে কেরাম এও বলেন, পিস টিভি নিষিদ্ধের পাশাপাশি যেসব চ্যানেল যুবকদের চরিত্র হনন করছে ইসলাম ধর্মের ঈমান আকিদাকে বিদ্ধ করে সেগুলোও নিষিদ্ধের ব্যবস্থা নিতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।