Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

প্রধান বিচারপতির দরজায় পদাঘাতকারীরা আদালত নিয়ে মন্তব্যের অধিকার রাখেনা: তথ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ মার্চ, ২০২০, ৮:২১ পিএম

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা রাতের আঁধারে কোর্ট বসায়, প্রধান বিচারপতির দরজায় পদাঘাত করে, আদালত নিয়ে কথা বলার অধিকার তারা রাখে না।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল-২০২০ উপলক্ষে শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, আপনারা জানেন গতকাল পিরোজপুরে একজন জজকে বদলী করা হয়েছে। আইনমন্ত্রী সেই বদলীর ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি যেভাবে এটা নিয়ে গলাবাজি করছে, আমি বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো একটু পিছনে ফিরে তাকানোর জন্য। বিএনপির আমলে ল’ ডিগ্রী নাই, এমন লোককেও তারা হাইকোর্টের জজ বানিয়েছেন। ধরা পড়ার পর পদত্যাগ করেছিলেন। বিএনপির আমলে একজন হাইকোর্টের জজ রাতের বেলা তার ঘরের মধ্যে কোর্ট বসিয়েছিল। দিনের বেলা না রাতের বেলায়। কোর্ট বসিয়ে দুইপাশে বিএনপির দুই নেতাকে নিয়ে বিএনপির পক্ষে রায় দিয়েছিল।

তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপির আমলে তারা চীফ জাস্টিসের দরজার মধ্যে লাথি মেরেছে। বিএনপি আমলে তাদের এমপি পাপিয়া কোর্টের টাইপরাইটার জজের দিকে ছুড়ে মেরেছিল। যারা রাতের বেলা কোর্ট বসায়, ভুয়া ডিগ্রীধারীদের জজ বানায়, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির দরজায় যারা লাথি মারে, তাদের আইন আদালত নিয়ে কথা বলার কোন অধিকার থাকে না।

'বাংলাদেশে আইন এবং আদালত স্বাধীন এবং স্বাধীন হওয়ার কারণেই আমাদের দলের নেতাদেরকে হাইকোর্টে এবং জজ কোর্টে হাজিরা দিতে হয়' উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আইন আদালত স্বাধীন বলেই পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তার স্ত্রী যিনি মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও দুই দুইবারের এমপি, দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে হারিয়ে যিনি এমপি হয়েছেন, তার বিরুদ্ধেও মামলা হয়, তাকে জজকোর্টে হাজিরা দিতে হয়।দুদক যদি স্বাধীন না হতো, তার বিরুদ্ধে মামলাটাও হতো না। তাকে কোর্টে যেতে হতো না।'

মন্ত্রী বলেন, আমাদের দলের সাবেক মন্ত্রী আদালতে জামিন চাইতে গেছে, তাকে জামিন বাতিল করে তাকে জেলে যেতে হয়েছে। আমাদের দলের এমপিদেরকে নানা মামলায় হাজিরা দিতে হয়। এমনকি জেলেও যেতে হয়। আইন আদালত স্বাধীন বলেই এটি সম্ভবপর হয়েছে। যেটি বিএনপির আমলে ছিল না। বিএনপির আমলে আইন এবং আদালত পরাধীন ছিল। তাই আবারও বলবো যারা রাতের বেলা কোর্ট বসায় আর দিনের বেলা সুপ্রীম কোর্টে প্রধান বিচারপতির দরজা লাথি মারে আর যারা ভূয়া ল' ডিগ্রীধারিদের জজ বানায় তাদের এই নিয়ে কথা বলার কোন অধিকার নাই।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, বেগম আখতার জাহান ও সাহাবুদ্দীন ফরাজী, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সামিল উদ্দীন আহ্ম্মেদ শিমুল এমপি ও ফেরদৌসি ইসলাম জেসি এমপি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল ওদুদ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তথ্যমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ